
রংপুর(গঙ্গাচড়া) প্রতিনিধঃ
কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জমজমাট হয়ে উঠছে উপজেলার হাট-বাজারগুলো। উপজেলার অন্যতম ব্যস্ত ও ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাচড়া হাট এখন সরগরম কোরবানির পশু ও নানাবিধ পণ্যের কেনাবেচায়। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও আশপাশের গ্রাম গঞ্জ থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতারা আসছেন এ হাটে। পরম যতেœ লালনপালন করা গরু, ছাগলসহ অন্যান্য কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে হাট প্রাঙ্গণ। ভিড় জমেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। এরই সঙ্গে হাটে চলছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামালের বেচাকেনাও।সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুসারে গরু প্রতি ৫০০ টাকা, ছাগল ১৬০ টাকা, হাঁস-মুরগি ১০ টাকা এবং পেঁয়াজ-আদা-রসুন মনপ্রতি ১০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। পুরো হাটজুড়ে টোল আদায়ের বিষয়ে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত মূল্য ব্যতীত অতিরিক্ত টাকা না দিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তে স্থাপন করা হয়েছে বুথ ও মেশিন এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য মোতায়েন রয়েছেন সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা।হাঁটে আসা বিক্রেতা মোস্তফা ইসলাম জানান, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার হাটের পরিবেশ ভালো। ব্যবস্থাপনাও উন্নত।” কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোখছেদ আলী বলেন, “তহশীলদার নিয়মিত হাটে ঘুরে দেখছেন। কারও কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করছেন।”গরু ক্রেতা মফিজার রহমান বলেন, “আগে কখনও টোল-খাজনার চার্ট চোখে পড়েনি। এবার হাটে বিভিন্ন জায়গায় চার্ট টাঙানো রয়েছে। এতে সব পণ্যের নির্ধারিত টোল স্পষ্টভাবে উলে¬খ রয়েছে, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, “সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টোল নেওয়া যাবে না, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যত্যয় হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাল নোট শনাক্তকারী যন্ত্রসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে হাটগুলোর আরও উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।”
