৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কালিগঞ্জে মন্দিরের জমি দখল করে চলছে মার্কেট নির্মান

তাপস কুমার ঘোষ কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পল্লীতে মন্দিরের জায়গা  দখল করে চলছে মার্কেট নির্মানের কাজ। জনরোষ ঠেকাতে কাজবন্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সরেজমিনে পরিদর্শনে কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার।কালিগঞ্জ থানা ও সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, ভুক্তভোগী কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত এছাম উদ্দীন তরফদারের ছেলে সামছুর রহমান তরফদার (৫৫) কালিগঞ্জ থানায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেণ তপশীলভুক্ত সম্পত্তিতে সার্বজনীন দামুদর মন্দিরের অনুকূলে ২০০০ সালের ২৯ আগষ্ট ৫৫৩নং খতিয়ানে এসএ ১২৯৬ ও ১২৯৭ দাগের হাল দাগে ২০৩৬ দাগের মধ্যে ৩৫৫৩ নং দলিলে ৩শতক জমি শ্যামল কুমার ঘোষ দিং দানপত্র করেণ। একইভাবে শ্যামল কুমার ঘোষের নিকট হতে সামছুর রহমান ১৪/১২/৯৩ তারিখে ৫৩৩৫ নং রেজিষ্ট্রি কোবলামূলে ১২৯৭ দাগে ২শতক ও এসএ ৪৯৮ খতিয়ানে ৪শতক মোট শতক জমি ক্রয় করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এদিকে বৈধভাবে খরিদকৃত জমি হলেও মোঃ রওশন আলী কাগুচি (৫০), হাফিজুল গাজী (৩৫), ও আলী আকবর (৩৬), দীর্ঘদিন ধরে জমিটি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল।

এ ঘটনায় সামছুর রহমান কালিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা (নং-৪০৯/২৪) দায়ের করেন। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে বিবাদীদের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত ৫,৬ ও ৭ সেপ্টেম্বরে রওশান গং উক্ত জমিতে জোরপূর্বক মাটি কেটে পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং সেখানে ইট, বালু, খোয়া মজুদ করতে থাকে। মন্দিরের পক্ষ ও অপর ভুক্তভোগীরা বাঁধা দিলে বিবাদীরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা চালায় এবং প্রকাশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রওশান কাগুজীর ভাই ইদ্রিস আলী কাগুজী, আব্দুস সাত্তার, রেজাউল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকেই এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।

ভুক্তভোগী মোঃ সামছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সবসময় আইন মেনে চলেছি বলেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত যখন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তখনও যদি বিবাদীরা জমি দখলের চেষ্টা চালায়, ভয়ভীতি দেখায় ও প্রকাশ্যে হুমকি দেয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও সুরক্ষার দাবি জানাই। অপরদিকে মার্কেট নির্মানকারী কৃষ্ণনগরের মৃত মনসুর আলী গাজীর ছেলে হাফিজুর ইসলাম বলেন ২৩/১১/২২ সালে মৃত পাঁচকড়ি ঘোষের ছেলে ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি অমল ঘোষের নিকট থেকে ৬৭৯৫ নং সাফ কবলামূলে আমিসহ মোট ১৭জন জমি ক্রয় করে শান্তিপুর্ন দখলে আছি।আমরা মন্দিরের যায়গা দখল করেনি এটা অপপ্রচার করা হচ্ছে।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে মন্দিরের যায়গায় মার্কেট নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত কুমার বিশ্বাস। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন