
শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটুঃ
রংপুরের সেনপাড়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসায় বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ধাওয়া ও পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদেরকে দায়ী করা হয়েছে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় ও শহিদ মিনার এলাকাসহ সেনপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ সতর্ক টহল শুরু করেছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রাত ৯টার সময় রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি সেখান থেকে সেনপাড়া পর্যন্ত যায়। এ সময় তারা জাতীয় পার্টির বিগত সরকার আমলের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। মিছিলটি গ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।একপর্যায়ে নেতাদের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সিনাপাড়ায় জিএম কাদেরের পৈত্রিক বাসা স্কইভিউয়ের সামনে এলে বিক্ষুব্ধ মিছিলকারীরা তার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত না থাকায় মিছিলকারীরা নির্বিঘ্নে হামলা চালিয়ে তারা আবার ফিরে আসতে থাকে।হামলার সময় বাড়িতে দরজা-জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। একটি গলির ভেতর থেকে একদল দুর্বৃত্ত জিএম কাদেরের বাসার সামনে রাখা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে জাতীয় পার্টিও নেতাকর্মীরা সশস্ত্র প্রস্তুতি নিয়ে জিএম কাদেরের বাসার চারদিকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে নগরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ খবর লেখা পর্যন্ত রাত ১০টায় জাতীয় পার্টি সেন্ট্রাল রোড কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ডেকে সভা করছে। পাল্টা প্রস্তুতি হিসেবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সমবেত হচ্ছে। পুলিশ সেনাপাড়ায় প্রবেশ পথগুলো ঘিরে রেখেছে।এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেন, আমি বিশ্রাম করছিলাম। নেতাকর্মীরা চলে গেছে- এ সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর করে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।তিনি বলেন, এ দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়।জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, বৈষ্যম্যবিরোধীরা আন্দোলনের ব্যানারে এই সশস্ত্র হমলা।
