৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্য পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া, নিন্মবিত্ত মানুষের বোবা কান্না

মোঃ হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে, লাগামহীন বেড়েই চলছে নিত্য পণ্যের দাম; নিন্মবিত্ত মানুষের বোবা কান্না দেখার কেউ নেই।
বছরের শুরুতে নতুন সরকার শপথ নিয়েছে। এ সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। ক্ষমতাসীন দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাজারে স্বস্তি ফেরেনি। উল্টো রমজানকে সামনে রেখে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। দিন পার হতে না হতে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু মুনাফা লোভী একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন নিত্যপণ্য মালামাল মজুদ করে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। যার প্রতিকার করার কোন পথ খোলা নেই। অন্যদিকে উপজেলা প্রসাশন ও ভোক্তা অধিদপ্তরসহ নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়না। যদিও উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে অসাধু মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও অজানা কোন কারণে অভিযান ধমকে দাড়ায়। ফলে অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হযবরল-কারবারে নিন্মবিত্তের অবস্থা দিনদিন নাজেহাল হয়ে পড়ছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অসাধু মজুদদারগণ সক্রিয় ভাবে নিত্যপণ্যে মালামাল গোপনে মজুদ করে চলেছে। ফলে রমজান মাসে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে এতে সন্দেহ করার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে বাজারে কোন কোন পণ্যের দাম বেড়েছে, সেটা এখন হিসাব করা বেশ কঠিন। তবে মোটাদাগে বলা যায়, দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই। টিসিবির হিসাবে বাজারে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত মোটা চাল, প্যাকেটজাত আটা, ময়দা, মসুর ও মুগ ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ ৪ ধরনের মসলা ও ব্রয়লার মুরগি—এই ১৩টি পণ্যের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা কমেছে আলু ও আটার দাম। বাজারে গত কয়েকদিনে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। শুক্রবার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় সব ধরনের চাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আটা-ময়দা ও ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। তেলের দামও লিটারপ্রতি ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীত মৌসুমের সব ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শিমের দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর মাঝারি আকারের একটি লাউয়ের দাম ৮০ টাকা, বড় হলে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে- মাছ, মুরগি, ডিম, আদা-রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যও। গরুর মাংস ৬৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নিত্যপণ্যের হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম কম হওয়ার কথা, কিন্তু বাজারের চিত্র ভিন্ন। জরুরি ভাবে নিত্য পণ্যের লাগামহীন দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার পরীক্ষক জনাব মোঃ রিয়াদুল ইসলাম জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন