৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা,কে সামনে রেখে জমে উঠেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী কোরবানীর পশুর হাট।আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ৭জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করবেন মুসলিম সমপ্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। কোরবানি উপলক্ষে পশু কেনা-বেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুরবানিদাতা ও ব্যবসায়ীরা।পলাশবাড়ী কোরবানী পশুর হাট অন্যান্য হাটের চেয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা এবং বাহিরের ব্যাপারীর বেশি আনা- গোনা হয়। সপ্তাহে দু-দিন শনিবার এবং বুধবার হাট বসে।পলাশবাড়ী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে পশুর হাট বসে। এই সব হাটে দেশীয় প্রজাতির বহু সংখ্যাক গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল ওঠে। কিন্তু এবার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গরুর খামারী ও ব্যবসায়িরা।গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পশুর দাম কম হওয়ায় হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পশু থাকলেও বিক্রি তুলনামূলকভাবে বেশ কম।এবারে মধ্যবিত্তরা ঝুঁকছেন ছোট বা মাঝারি সাইজের পশু ক্রয়ের দিকে। যে কারণে এবারের কুরবানি ঈদে লাখ টাকা বাজেটের মধ্যে গরুর চাহিদা একটু কম। তবে পশুর হাট গুলোতে মাঝারি সাইজের গুরু ও ছাগলের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। আর্থিক সংকটের কারণে সাধ্যের মধ্যে না থাকায় সাধারণ ক্রেতারা এবার বড় গরু কিনতে বেশী আগ্রহী নয়।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পলাশবাড়ী পশুহাটে অন্যান্য বারের মতো চমকপ্রদ ও বিশালাকৃতির সারি সারি গরুর দেখা মেলেনি। হাতে গোনা কয়েকটি বড় সাইজের গরু হাটে তুললেও, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রখর রোদে ও ভ্যাপসা গরমে দাড়িয়ে থেকে ক্রেতা না মেলায় তা ফিরিয়ে নিয়ে যান ব্যবসায়ী ও খামারীরা। এদিকে মাঝারি সাইজের খাসি ছাগল ১২থেকে ১৫হাজার এবং ত্রিশ কেজি ওজনের বড় সাইজের খাসি ছাগল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে পলাশবাড়ী পশুরহাটে।স্থানীয় খামারিরা বলছেন, এবার পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু পালন করেছেন। গরুকে খাবার হিসেবে কাচা ঘাস, খৈল, চিটা গুড়, ভূট্টা, ভূষি, খুদ এবং ধানের গুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। কোরবানির পশুর দাম এবার বেশি না হওয়ায় আমাদের লোকসান হবে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উৎপাদন খরচ বাড়ায় তাদের লাভের পরিমাণ কম হবে।কোরবানির হাটে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম না পেলে পশু বিক্রি করবেন না। সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের বাড়তি দামেই কিনতে হবে। তখন কোরবানি উপলক্ষ্যে গড়ে ২৪-২৫ লাখ গবাদি পশু দেশের বাইরে থেকে আসত। ধীরে ধীরে সেই চিত্র পাল্টেছে। সবশেষ কয়েক বছর দেশি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। বাইরে থেকে গরু আনতে হচ্ছে না।এ বিষয়ে পলাশবাড়ী হাটের ইজারাদার , আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুল বলেন সপ্তাহে ঈদের আগে শনিবার ও বুধবার হাট বসে। মোটামুটি কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। তবে আগামী বুধবার হাট আরও বড় হবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়বে। এবারের কোরবানির হাট জমে উঠেছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন