৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যৌথ বাহিনীর অভিযানকালেও রাজশাহীর বাগমারায় সর্বহারা আতঙ্ক

মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না রাজশাহী:

দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলা অবস্থায়ও রাজশাহীর বাঘমারায় আবার সর্বহারা চক্র মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে অচেনা মুখের আনাগোনা। এসব নিয়ে জনমনে রীতিমত ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাঘমারার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দুলালিপাড়ার সাবেক সর্বহারা কমান্ডার আক্কাছ আলী মাস্টারের নেতৃত্বে সেখানে অস্ত্রবাজ গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাতিজা বিপুলের বাহিনী।বেজায় দাপুটে এ চক্র যাকে তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, মেতে উঠেছে হামলা, ভাংচুর, দখলবাজির অপকর্মে। বাংলা ভাইয়ের সক্রিয় কমান্ডার হিসেবে গ্রেফতার হলেও আক্কাছ আলী মাস্টার অলৌকিক ক্ষমতায় তড়িঘড়ি জামিনে বেরিয়ে আসেন।পরবর্তীতে স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের সহযোগী হিসেবে আওয়ামী দাপটে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ান আক্কাছ মাস্টার। নিরীহ মানুষের জায়গা জমি জবর দখল, বাজারের চাঁদাবাজি, পরিবহনের চাঁদা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম চালালেও তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করতে সাহস পায়নি কেউ।সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকদিনের জন্য গা ঢাকা দিলেও হঠাত করেই সদলবলে তিনি ঢুকে পড়েন এলাকায়। প্রকাশ্য দিবালোকে আক্কাছ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে কনোপাড়া গ্রামে হানা দিয়ে জনৈক ব্যক্তির আমবাগান জবর দখল করে নেন। তারা শতবর্ষী ৭০টি আম গাছ কেটে বিক্রি করে দেন, ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেন অন্তত বিশ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের।এ ব্যাপারে বাঘমারা থানায় আক্কাছ মাস্টারকে প্রধান আসামি করে মামলা (নং-৮-২৬/৫/২০২৪ ইং) দায়ের হলেও তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে সদাপটে এলাকায় বিচরণ করে থাকে।ইদানিং তার বসতবাড়িকে কেন্দ্র করে বহু অচেনা অজানা মুখের আনাগোনায় এলাকাবাসী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আক্কাছ আলী মাস্টার দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানির পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। থানায় দায়ের করা মামলাকেও তিনি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে বলেন, ওই মামলায় জামিন নিয়েই এলাকায় বসবাস করছি। ভুক্তভোগী বাসিন্দারা অবিলম্বে আক্কাছ মাস্টার ও তার সশস্ত্র সহযোগিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন