
মাসুদ পারভেজঃ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু করেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।এর আগে রোববার রাতে তারাবিহ আদায় ও সেহরি খেয়েছেন সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া উপজেলার নির্দিষ্ট আকিদার মুসলমানেরা।দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, মির্জারখীল ছাড়াও উপজেলার সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রোববার রাতে প্রথম রোজার সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন তারাও রোববার রাতে সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছেন,মির্জাখীল দরবারের বর্তমান পীরের সেজ ভাই জালালুল হাই বলেন, ‘ প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।’
