৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুড়িগ্রাম জেলায় আওয়ামীলীগ নেতাকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন ছাত্রলীগের নেতা

রতন রায় অর্ঘ্যঃ

কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৮ টার দিকে শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি শহরের হাটিরপার এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা কুড়িগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নিহত সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা সোহানসহ তিনজন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে জিপ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের জিপ গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পড়ে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তার দলবল আমাদের জিপ গাড়ির পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সোহান।তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে সোহানকে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দু নিজেই সদর হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের সামনে এসেও বিন্দু ও তার লোকজন আবারও সোহানকে মারধর শুরু করেন। আমরা এসে আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে আমি ঢাকায় রয়েছি। ঘটনা জেনেছি। বিন্দুর সাথে একবার কথা হয়েছে। সে নিজের দায় অস্বীকার করেছে।ছাত্রলীগ জড়িত থাকার প্রশ্নে সাদ্দাম বলেন, ঘটনায় বিন্দু কিংবা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। যেই জড়িত হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে রাতে শরিফুল ইসলাম সোহানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তারা সোহানের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন