৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্রগ্রামে নগরে গ্যাস সংকট চরমে, ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ লাইন

রুদ্র ডেক্সঃ

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট চরমে। ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো গ্রাহক।সরবরাহ কম থাকায় শুধু বাসাবাড়ি নয়, সিএনজি পাম্প, ফিলিং স্টেশন ও শিল্প কারখানায়ও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন হচ্ছে। এতে ফিলিং স্টেশনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নগরের, টাইগারপাস ফিলিং স্টেশন, কদমতলী, গণি বেকারীস্থ কিউসি ফিলিং স্টেশনের সামনে দেখা যায়, ছোট-বড় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গ্যাস নেওয়ার জন্য এত চাপ, ফিলিং স্টেশনের চত্বর মাড়িয়ে প্রধান সড়কেও অনেক যানবাহন ছিল।যার কারণে নগরের বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের।নগরের কদমতলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসেন সিএনজি অটোরিকশা চালক মোকারম হোসেনস্টেশনের দীর্ঘ লাইন সিআরবির সামনে পর্যন্ত চলে আসে। তিনি বলেন, ৩ ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, গ্যাস পাবার সম্ভাবনা নাই মনে হচ্ছে সিএনজি চালক বাহাদুর বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের জন্য আসছি । দিনের বেলা হচ্ছে ব্যবসার আসল সময়, আজও গ্যাস না নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। কেন গ্যাস নেই কেউ নির্দিষ্ট করে তা বলতে পারছে না।গতকাল গ্যাস আসছে রাত ১২টার পরে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেনি তাই সকালের নাস্তা কিনে নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু দুপুরের খাবার কীভাবে রান্না হবে বুঝতে পারছি না। গ্যাস সরবরাহ কখন চালু হবে, তার খবর কেউ বলতে পারছে না। ‘ এইভাবে বলছিলেন চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারের বাসিন্দা ফাতেমা বিলকিস।বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা আমান উল্লাহ দৌলত বলেন, গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের চার্জ বাড়ানোর পরেও আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস পাচ্ছি না। আমরা নিয়মিত বিল পরিশোধ করি। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস ব্যবহার করতে পারি না।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। কলকারখানার পাশাপাশি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন এবং আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যমান সংকট চরম আকার ধারণ করবে। এর থেকে কমানো হলে গ্যাস সরবরাহ নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক প্রবাহ টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন