
নিউজ ডেক্সঃ
এবারের নির্বাচনে খরচ বাড়ছে দ্বিগুণ। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকার মতো। আর এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য খরচ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশই হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট থাকলেও, নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধের মধ্যেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায় কমিশন। আগামী জানুয়ারিতে ভোটগ্রহণ এবং নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে এই টাকা ব্যয়ের পাশাপাশি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও এবার আরও বাড়বে।নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘গাড়ির জ্বালানি, জ্বালানি তেলের দাম বাজার মূল্যের সাথে মিলিয়েই তো দেওয়া হবে। এতে বাজেট তো কিছু বাড়বেই। কমিশন সম্ভাব্য একটা বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের জন্য দুদিনের সম্মানি ভাতা দেওয়া হবে। তাদের ইউনিট কস্ট বাড়ছে না। তারা দুদিনের টাকা পাবে। সব মিলিয়ে ১৪০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে। সকল বাহিনী থেকে পাওয়ার পরে আমরা এটা বুঝতে পারব।’নির্বাচনের সময় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকবেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। দেড় হাজার কোটির মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে খরচ হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে খরচ আরও বাড়বে।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আপনারা জানেন, নির্বাচনের একটি বড় খরচ থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয়টা। বাজেটটা নির্ভর করবে আমাদের পরিপত্র জারির ওপর। যেমন কয়দিন তারা ইউনিট কস্টটা দিতে পারবে, পরবর্তীতে পরিপত্রে যে কয়দিন ডিপ্লয়মেন্ট হবে সে কয়দিন অনুযায়ী বাজেট বাড়বে। বাজেটটা চূড়ান্ত হতে আরও ১৫–২০ দিন সময় লাগবে। কারণ, আমাদের সকল বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়ার পরেই তো এটা চূড়ান্ত হবে।’এবার প্রায় ১২ কোটি ভোটার আগামী নির্বাচনে নির্বাচনে ভোট দেবেন।