৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তার ‘গভীর ঘুম’ ভাঙল নোবেল কমিটির ফোনে

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক মাউঙ্গি বাবেন্দি। বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে নোবেল জয়ী হিসেবে যে তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে, তাদের একজন তিনিও। তবে আজকের দিনটা মাউঙ্গি বাবেন্দির কাছে অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারে আলাদা ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পুরস্কারবিজয়ী হবেন তা তিনি কখনই কল্পনাও করতে পারেননি। এমনকি এই বিষয়ে তার কোনও প্রত্যাশাও ছিল না বলে জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার টেলিফোনটা যখন আসে, তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। নোবেল কমিটির টেলিফোনেই ঘুম ভাঙে তার।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে তিন রসায়নবিদের নাম ঘোষণা করে। তাদের মধ্যে লুই ব্রুস ও মাউঙ্গি বাবেন্দি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর অ্যালেক্সি একিমভ যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে গবেষক হিসেবে কাজ করেন। তাদের সবার দেশ বা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ভিন্ন ভিন্ন।কোয়ান্টাম ডটস, ন্যানোপার্টিকেলস আবিষ্কারের গবেষণায় চলতি বছর রসায়নের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ন্যানোটেকনোলজির ছোট এই উপাদানটির লাইট এখন টেলিভিশন এবং এলইডি বাতি পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এমনকি এটি চিকিৎসকরা অস্ত্রেপচারের মাধ্যমে টিউমার টিস্যুর অপসারণেও ব্যবহার করেন। এছাড়া আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট টেকনোলজি।
মাউঙ্গি বাবেন্দি ফরাসি, অ্যালেক্সি একিমভ রুশ এবং লুই ব্রুস মার্কিন নাগরিক। তবে তারা সবাই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের মহাসচিব বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় টেলিফোনে কথা বলেন মাউঙ্গির সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, নোবেল কমিটির কাছ থেকে টেলিফোন পাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই খবর কারও কাছে শুনতে পাননি।টেলিফোনে মাউঙ্গি বলেন, আমি বিষয়টি জানতামই না। সুইডিশ একাডেমি আমাকে জাগিয়ে তুলেছে। আমি গভীর ঘুমে ছিলাম। এমনকি তিনি সুইডিশ একাডেমির কাছ থেকে ফোন পাওয়ার প্রত্যাশাও করেননি বলে জানিয়েছেন।
নোবেল জয়ের অনুভূতির বিষয়ে তিনি বলেন, তার অনুভূতি অত্যন্ত বিস্ময় জাগানিয়া, ঘুমন্ত এবং অবাক হওয়ার মতো। তিনি বলেন, এটি অপ্রত্যাশিত। তবে নোবেল জয়ে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন