৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বরুড়ায় ভোটার আইডি কার্ড মানে, আলাদিনের চেরাগ, এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার বরুড়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে দালালের দৌরাত্ম্যে থমকে আছে ভোটার আইডি কার্ডের কাজ, সাধারন নাগরিকরা ৩-৪ মাস ঘুরেও এনআইডি কার্ড করতে পারছে না, এনআইডি কার্ড । শুধু নতুন এনআইডি কার্ডই নয়,ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সহ নানা কাজে অনিয়মের অভিযোগ। উপজেলা নির্বাচন অফিস নিয়ে হাজারো ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, এখানে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। দালাল ছাড়া হয়না কাজ বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের মোঃ শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যাক্তি আইডি কার্ড সংশোধন এবং ছেলের আইডি কার্ডের কাগজ জমা দিতে আসলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা কাগজ জমা না নিয়ে পরে আসতে বলে। এই নিয়ে ২-৩ মাস অফিসে এসে ঘুরে যায় কাজ হয় না।এইভাবে কত কাজ আটকে রয়েছে নির্বাচন অফিসে। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চত্তরে নির্বাচন অফিসের আশে পাশে থাকে দালালের টিম যে কেউ ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতে গেলে টার্গেট করে ধরে,পরে টাকার বিনিময়ে দ্রুত কাজ করে দিবে বলে জানায়।দালালের মাধ্যমে ১-২ মাসের মধ্যে নতুন এনআইডি কার্ড পাচ্ছে । এ অবস্থায় আরো জানাযায় দালাদের একটা গ্রুপ থাকে ইউনিয়নে যারা ইউনিয়নের সাধারন মানুষকে বুঝায় যে নির্বাচন অফিসে গেলে কাজ হবে না আমি ফোন দিয়ে বলে দেই আপনি ঐ লোকের কাছে যান আপনার এনআইডি কার্ড হয়ে যাবে তখন ঐ দালালদের ফোন দিয়ে বলে জানাযায়, এ অবস্থায় প্রতিবেদক গত ১৯ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার বিকাল ৩.১১ মিনিটে নির্বাচন অফিস সহ লাইন ধরে ধাড়িয়ে থাকা একটি ছবি তার নিজ ফেসবুকে পোস্ট করলে মিক্সো প্রক্রিয়ার কমেন্ট আসে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ফয়সাল হাসান হৃদয় নামে এক ব্যক্তি বলেন মানুষ সকাল সকাল নাস্তা করে বাড়ি থেকে বরুড়া নির্বাচন অফিসে আসে ছবি তোলার জন্য কিন্তু সেটা আর হয়নাই এ সময় তিনি আরও বলেন যারা টাকা নিয়ে আসে তাদের গুলা হয়ে যায় আর আমরা যারা টাকা ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড করতে আসি আমাদের আর ছবি তুলা হয়না কি করবো আমরা সাধারন মানুষ আমরা নিরুপায়। এমতাবস্থায় ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি বলেন সকাল আটটায় আসছি নির্বাচন অফিসে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আবার বাড়ি চলে আসছি কি করবো কিছু করার নাই তাই বাড়িতে এসে কাগজ পত্র সব ছিড়ে ফেলেছি দরকার নাই আর আমার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দরকার নাই ন্যাশনাল আইডি কার্ড, গোপন সূত্রে জানা যায় বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সহকারী নুরুল হুদা এই দালাল চক্রের গডফাদার সে দালালদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে বলে জানাযায় উল্লেখ গত ১৩.০৯.২৩ তারিখে দশ হাজার টাকার লেনদেন হয়। এ সময় নাম না বলতে অনিচ্ছুক ঐ ব্যাক্তি বলেন এই নুরুল হুদার মোবাইলের নাম্বারের ডিটেইলস বের করে দেখেন সে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার উপরে দালাদের বিকাশ থেকে নেয় এই বরুড়া থেকে , এ সময় ঐ ব্যাক্তি বিকাশে দশ হাজার টাকার লেনদেন করার একটা ছবি দেয় প্রতিবেদকে এ সময় আরো জানাযায়, বরুড়া পৌরসদর বাজারে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান মালিকদের সাথে চুক্তিতে কাজ করে থাকেন এই অফিস সহকারী নুরুল হুদা। এ বিষয় অফিস সহকারী নুরুল হুদা প্রতিবেদকে বলেন অন্য কোন নাম্বার আমার নামে মোবাইলে সেভ করে আপনাদের কে দিয়েছে কিন্তু প্রতিবেদক এ সময় অফিস সহকারী নুরুল হুদার লাষ্ট তিরানব্বই নাম্বার টি পায় যা প্রতিবেকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে , এই দিকে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে নতুন নির্বাচন অফিসার এহসানুল কবির ফেরদৌস আসার ২ মাসেও দালালের দৌরাত্ম্যে কমে নাই ,কাজে গতি আসেনি, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তো কমে নি উল্টো বেড়েছে দিগুণ।এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার এহসানুল কবির ফেরদৌস বলেন নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব, আর আমি চেষ্টা করবো নির্বাচনের আগে সকলের এনআইডির কাজ সম্পুর্ন করার।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন