
নিউজ ডেক্সঃ
নির্বাচনের আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অশান্তি বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ জন্য ভোটের আগেই তিন পার্বত্য জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার নির্বাচনের আগেই তিন পার্বত্য জেলার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেন।
পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কেএনএফ ২০১৩ সালে সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।তিনি বলেন, বিভিন্ন দল-উপদলের কারণে বান্দরবানের পাড়ামহল্লায় মানুষ অসহায় দিন যাপন করছেন। গত পাঁচ বছরে এখানে বিনাবিচারে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে জটিল আকার ধারণ না করে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাসন্তী চাকমা এবং নোমান আল মাহমুদ অংশ নেন।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, পার্তব্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার কমাতে ও শান্তি ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে আমরা সুপারিশ করেছি। আমরা চাই মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, অস্থিতিশীল ও অস্থির পরিস্থিতি যেন না থাকে।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র যেন দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।এছাড়া বৈঠকে রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।