
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বৈঠকে নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত সময় এগিয়ে আনার প্রস্তাব, ক্ষমতার আদানপ্রদান এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলা হয়। তবে, বাংলাদেশ গণশক্তি দলের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এই বৈঠকের ফলাফলকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতির জন্য ব্যর্থ ও অবিচারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া যে কোনো নির্বাচন কেবল পুরনো সংকটের পুনরাবৃত্তি। লন্ডনের বৈঠকে দেশের জনগণের মৌলিক দাবিগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করেননি। জনগণ আজও চাইছে প্রকৃত গণতন্ত্র, যা মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমেই সম্ভব।”তিনি বলেন, “এই বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট দলকে সন্তুষ্ট করার জন্য, যা দেশের হাজার হাজার শহীদের স্মৃতির প্রতি অবজ্ঞাসূচক। জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগকে হেয়প্রতিপন্ন করার এই পদক্ষেপকে আমরা কঠোর নিন্দা জানাই।”আব্দুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, “দেশের মানুষের আশা পূরণে ব্যর্থতার জন্য বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের প্রতি জনগণের অবিশ্বাস বাড়ছে। রাজনৈতিক সংকটের সমাধান ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের দাবি দেশের জনগণ আজ শক্তিশালী কণ্ঠে তুলছে।”তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ গণশক্তি দল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—গণতন্ত্রের স্থায়িত্বের জন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার। এমনকি ভোটারদের নিরাপত্তা, নির্বাচনী পরিবেশের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাই আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া, রাজনৈতিক বর্ণবৈষম্য, ভোটার বাধা ও ধানের শীষের মতো পুরনো সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।”নোমান বলেন, “আমরা জনগণের পাশে থেকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সকল প্রকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করব এবং এক নতুন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।”বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লন্ডন বৈঠকের এই ফলাফল নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—নির্বাচন আগানোর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী? সাধারণ মানুষ কি আদৌ এর থেকে লাভবান হবে? নাকি এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা?বাংলাদেশ গণশক্তি দলের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের এই বক্তব্য একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, নির্বাচন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে গেলে দেশের গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি ধসে যাবে এবং এর ফলে পুনরায় রাজনৈতিক সংকট বাড়বে।
