৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজারহাটে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা, নাই সূর্যের দেখা

রতন রায় রাজারহাট প্রতিনিধি:

পৌষ পেড়িয়ে মাঘের কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের মৃদু বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত।সারাদিন দেখা নেই সূর্য্যের।সূর্য্য বিহীন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চারপাশ। উঞ্চতা পেতে খড়কুঠো জালিয়ে আগুনের তাপে বসে থাকা পশ্চিম দেবোত্তর গ্রামের বৃদ্ধা অতুল চন্দ্র(৭৫) বলেন,আজকে খুব ঠান্ডা, মাঘের জারে বাঘ কান্দে বাহে, জারত থাকায় যায়না,তাই খরকুটার পোড়ের আগুন তাপাই,অনিতা রানীও(৫৫)বলেন ঠান্ডায় সূর্য্যের দেখা নাই,হাত পাও বরফ হয়য়া গেছে,বোলো রানী(৬৫) বেশি ঠান্ডাত জীবন বাঁচায় দায়,কেউ যদি একান কম্বল দেইল হয়।তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় অনেকটাই ব্যহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন।দিনমজুর সুধা রানী জানান প্রচন্ড ঠান্ডার সকালে কাজ করতে যাচ্ছি অন্যের বাড়ীতে। ঠান্ডায় ঘর থেকেই বের হতে চাং নাই,আবার কাজ না করলে খাইম কি।উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক জীবন চন্দ্র রায় বলেন, “জমিতে চারা রোপণ শুরু করছি। কিন্তু এতো ঠাণ্ডা যে কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না।অটোরিকশা চালক সোহেল ইসলাম ও বাদল রায় বলেন, সকালে হেডলাইট জালিয়ে অটো চালাতে হয়।অতিরিক্ত ঠান্ডায় যাত্রী কম হয়।রুটিরুজির জন্য কনকনে ঠান্ডা ও শীতে গাড়ী নিয়ে বেড়েয়েছি।ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে আলু পরিচর্যায় নিয়োজিত শ্রমিক শাহাজাহান আলী(৫৫)বলেন কনকনে ঠান্ডায় পেটের দায়ে কাজে যোগদান করি,পা মাটিতে রাখতেই শরীর হিম হয়ে যায়।রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান – রুদ্র সংবাদ কে বলেন পাঁচ হাজার চার শত কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,আজকের(২৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২:৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আগামিতে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন