৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় এমপি মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা

মাসুদ পারভেজঃ

চট্টগ্রাম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সাংবাদিককে মারধর-নাজেহালের অপরাধে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে বাঁশখালীর নির্বাচনী কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকদের মারধর নাজেহালের অপরাধে নির্বাচনী আচরন বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় মোস্তাফিজুর রহমান নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ২০০ ধারায় বাদী হারুন মোল্লার জবানবন্দি গ্রহণ করে ও রির্টানিং অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ৩ জানুয়ারি মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় অধিক লোক সমাগম করে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেন মোস্তাফিজ।এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে গালিগালাজ ও কিল ঘুষি মারেন এরপর সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর তদন্ত করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনপর সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন নির্বাচণী অনুসন্ধান কমিটি। একই সঙ্গে আসামীর বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সিদ্ধান্ত দেন নির্বাচন কমিশন।প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষযে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিককে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওইদিন ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগটির তদন্ত করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। তিনি ৩ ডিসেম্বর ওইদিনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন