৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার দিন আজ-শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানকালে দারা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

একটি মুক্তিকামী দেশকে পরাধীনতার শিকল থেকে বাঁচাতে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই দিন। দেশের সব মানুষ চিরকাল গর্ববোধ করবে দিনটির জন্য, সেটি আজকের এই দিন ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। আজ মহান বিজয় দিবস।মহান  বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা।রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পুষ্পস্তবক অর্পণ কালে এসময় উপস্থিত ছিলেন  রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম একরামুল হক, আমজাদ হোসেন নবাব, মোঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু, এ্যাড. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ , একেএম আসাদুজ্জামান । মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.পূর্ণিমা ভট্টাচার্য, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.এজাজুল হক মানু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল করিম শিবলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ানুল হক পিনু, উপ দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান, উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা, সদস্য গোলাম ফারুক,  মোঃ রবিউল ইসলাম, মর্জিনা পারভিন, এ্যাড. নাসরিন আক্তার মিতা, রোকসানা মেহবুব চপলা, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ, রাজশাহী জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন, তাঁতী লীগ সভাপতি মাজিদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস শেলী,সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন, যুবলীগ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সাংবাদিকদের রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী -৫ (পুঠিয়া -দূর্গাপুর) আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নৃশংস হানাদাররা ২৫ মার্চ রাতে এদেশের নিরিহ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। গণহত্যা চালায়। পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম। সে রাতেই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে দেশের দেশের বীর সন্তানেরা যুদ্ধের ময়দানে ছুটে গিয়েছিলেন। জীবনের মায়া তাঁদের কাছে ছিল তুচ্ছ। তাঁদের ছিল না যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, ছিল না কোনো উন্নত সমরাস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান তাঁদের উজ্জীবিত করেছিল সাহসে, সংগ্রামে। আক্ষরিক অর্থেই যাঁর কাছে যা ছিল, তা–ই নিয়েই দেশের বীর সন্তানেরা শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মরণপণ লড়েছিলেন মুক্তির সংগ্রামে। সেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পাই।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন