
নিউজ ডেক্স
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কেন্দ্রের পাশে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা সহজ হবে, দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে সরকার মনে করছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৫৭০ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় নতুন করে ৪৯ হাজার ৭৯৪ দশমিক ৩০ বর্গমিটার অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ১৯ হাজার ৫৯ দশমিক ৭৪ বর্গমিটার আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৫১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৩০টি ইতিহাস পরিক্রমা নির্মাণ করা হবে। ৬টি শপথ চত্বর, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার গুচ্ছ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। ১২ প্রকোষ্ঠ ডিওরোমা নির্মাণ করা হবে।

১টি স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য, ৬টি ভাস্কর্য উদ্যান, ৭টি চিলড্রেন্স পার্ক রাইড স্থাপন করা হবে। বৃক্ষ ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা হবে। ১০টি ম্যুরাল নির্মাণ করা হবে। ১টি মানচিত্র (পরিমার্জন) নির্মাণ করা হবে। ১টি মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য ও ১টি আরবরিকালচার নির্মাণ করা হবে।প্রকল্পটি চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীনভাবে অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৭ সালে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে বলেও জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১৩.২.২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রচার, ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, স্মৃতিসৌধ (প্লাজা), গণকবর প্রভৃতি সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সবার কাছে উপস্থাপন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সরকার।
