১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মহাকুম্ভ মেলা বিশ্বের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ

শিমুল কুমার নাথঃ

১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভ মেলা হল বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ। সারা বিশ্বের সাধু, ঋষি এবং ভক্তদের আগমণ ঘটে। দূরদূরান্ত থেকে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হন, ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেওয়ার জন্য। বিশেষত, নাগা সাধু, তাদের অনন্য জীবনধারা, পোশাক এবং ভক্তির প্রকাশ লক্ষ করাও এই মেলায় আগত বহু মানুষের অন্যতম আকর্ষণ।২০১৯ সালে কুম্ভ মেলায়, মোট ২৫ কোটি মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার আশা করছে এই বছরে এই সংখ্যা ৪৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ইউনেসকো মহাকুম্ভ মেলাকে ‘বিশ্বের তীর্থযাত্রীদের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ’ অ্যাখ্যা দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রায় ৫৫ দিনের মেলা, বিপুল জনসমাগম কীভাবে প্রশাসন আয়োজন করে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয় কীভাবে? কতদিন ধরে চলে প্রস্তুতি-সেসব নিয়ে প্রশ্ন হাজার। আর হাজার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবার প্রয়াগরাজে হার্ভার্ড, এলএসই, স্ট্যানফর্ড-সহ দেশের একগুচ্ছ আইআইটি যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। পড়ুয়ারা খতিয়ে দেখবেন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ কুম্ভ নিয়ে একপ্রকার গবেষণা করবেন তাঁরা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই।সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশ সরকার গবেষকদের অন্বেষণের জন্য আটটি ভিন্ন ক্ষেত্র এবং বিষয় বাছাই করেছে ইতিমধ্যে। সেগুলির উপর ভিত্তি করে মেলার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন নিয়ে আলচনা হবে। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, কিয়োটো ইউনিভার্সিটি, এইমস, আইআইএম আহমেদাবাদ, আইআইএম ব্যাঙ্গালোর, আইআইটি কানপুর, আইআইটি মাদ্রাজ এবং জেএনইউ-সহ দেশ বিদেশের একগুচ্ছ শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলি প্রয়াগরাজে তাদের অধ্যাপক, গবেষক, পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, মূলত দুটি ভাগে বিষয় অন্বেষণ এবং আলোকপাত করা হবে। একদিকে গবেষণা চলবে মহা কুম্ভের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের উপর, যেমন লক্ষ লক্ষ লোকের থাকার ব্যবস্থা, তার অবকাঠামো। যেমন কীভাবে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে, তাঁবু, কাঠামো, বাঁশের ঘর, সেগুলির পরিমাণ, তৈরি আবার মেলা শেষে ভেঙে ফেলা, তার প্রভাব। অন্যদিকে মেলার অর্থনৈতিক প্রভাব। এই মেলার পরিবহন, খাদ্য, দর্মীয় কার্যকলাপ, সেসবের পিছনে খরচের পরিমাণ। মহাকুম্ভের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিরিক্ষণ করবে যেমন কোনও প্রতিষ্ঠান, কোনও প্রতিষ্ঠান আবার নজরে রাখবে সমাজ মাধ্যমে এই মেলার প্রভাব এবং মেলার উপরে সমাজমাধ্যমের প্রভাব। উল্লেখ্য, ৫৫ দিনের এই ইভেন্টকে সঠিকভাবে পরিচালনা করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন