
রুদ্র ডেক্সঃ
“দুর্নীতি রোধে, সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শুদ্ধাচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ”Annual Performance Agreement (APA) বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক চবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য ‘শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ ০৬ মে ২০২৪ সকাল ০৯:৩০ টায় চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত কর্মশালার উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্যদ্বয়। চবি আইকিউএসি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. তানজিনা শারমিন নিপুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চবি একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল কবীর। এতে আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. কমল দে ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপি কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন কর্মচারী শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “দুর্নীতি রোধে, সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শুদ্ধাচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষকরে অফিসের নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলা, যথাসময়ে অফিসে আগমন ও প্রস্থান, সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকা, সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, নীতি-নৈতিকতা, মানবীয় গুণাবলী অর্জন, শিষ্টাচার ও সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের যথাসময়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা ইত্যাদি আয়ত্বকরণে এ শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” মাননীয় উপাচার্য বলেন, “নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকলে এবং সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দৈনন্দিন কাজ সময়মতো সম্পন্ন করলে সফলতা আসবেই।” তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেক কর্মী তার কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে নিলে যে কোন কঠিন কাজই সহজে বাস্তবায়ন সম্ভব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রায় আমাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব ‘ই-নথি’র যুগে প্রবেশ করতে হবে।” মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আমাদের যার যা দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে সঠিক সময়ে ন্যায়-নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিকল্পনামাফিক সম্পাদন করলেই আমরা অচিরেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণ করতে সক্ষম হবো।” মাননীয় উপাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্ন্তজাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আহবান জানান।
