সজল চক্রবর্তী ফটিকছড়ি :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ছুটছেন ফটিকছড়ির প্রার্থীরা। মন জয় করতে দিচ্ছেন নানার প্রতিশ্রুতি।গত বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ রাকিব হাসান।নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর পর প্রার্থীরা শুরু করেছেন গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথ সভা। ঘুরছেন ফটিকছড়ির বিভিন্ন হাট- বাজার,গ্রাম- পাড়া-মহালাতে । চায়ের দোকানে গুলোতে চলছে আলোচনা।প্রতিদিনেই মিছিল, লিফলেট বিতরণ, আলোচনা ও মতবিনিময় সভাসহ নিয়েছেন নানা কর্মসূচিতে। তুলে ধরছেন নির্বাচনি এলাকা নিয়ে প্রার্থীদের নানা পরিকল্পনা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক ও উৎসাহিত জনতা। শুরু হয়েছে পোস্টার লাগানো। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ইতিমধ্যে জমজমাট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় মহল।সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতীক হাতে নিয়ে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন রকম শোডাউন করতে দেখা যায়।
এছাড়া আগামী কয়েকদিন কে কীভাবে প্রচার চালাবেন এ সংক্রান্ত বিষয় গত রাতে চূড়ান্ত করা হয়।শুরু হওয়া প্রচার আগামী ১৯ মে পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনের বিধি মোতাবেক ভোট গ্রহণের দিন হতে ৪৮ ঘন্টা পূর্বে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রাখতে হবে।দ্বিতীয় ধাপে (২১ মে) ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।এই নির্বাচনে সর্বমোট ৮ জন প্রার্থী ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।এদের মধ্যেই চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী। তারা হলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী (মোটরসাইকেল) প্রতিক।অপরজন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা মুঃ বখতেয়ার সাঈদ ইরান (আনারস) প্রতীক।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন দুজন প্রার্থী। এরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা (প্রজাপতি) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন আক্তার নুপুর (ফুটবল)।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী। উনারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন (বই), ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন (টিউবওয়েল), সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কৌরাইশী (তালা), নাজিমুদ্দিন সিদ্দিকী (চশমা)।
বেশ কয়েকজন প্রার্থী সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চান প্রার্থীরা। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথাও বলেন। ভোটারদের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।এ দিকে শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিয়েছেন এ নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার । একই সঙ্গে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
