৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামবাসী

বিপ্লব কান্তি নাথঃ
বহুল প্রতিকৃত বঙ্গবন্ধুর টানেল উদ্বোধন ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ৫ প্রকল্প উদ্বোধনসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর)চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের দিন ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে জেলা পরিষদের ৫ প্রকল্প। যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য বৃহৎপাওয়া।
উদ্বোধন হতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- জেলা পরিষদের ১৮ তলা জেলা পরিষদ টাওয়ার, এক হাজার আসন বিশিষ্ট পটিয়া শেখ কামাল অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স, রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স এবং আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো।সংবাদ সম্মেলনে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম জানান, ১৮ তলা জেলা পরিষদ ভবন নির্মাণে ব্যয় ছিল ৭৭ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ টাকা। পরে বিভিন্ন সংযোজন ও আনুষঙ্গিক কাজসহ প্রকৃত ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া পটিয়া শেখ কামাল অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। যার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছে সরকার। রাউজানে তিনতলা বিশিষ্ট শেখ কামাল কমপ্লেক্স প্রকল্পে ব্যয় ৭ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আনোয়ারায় আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, রাঙ্গুনিয়ায় পুরাতন জরাজীর্ণ ডাকবাংলোটি ভেঙ্গে নতুন আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যয় প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম জানান, মানানীয় প্রধানমন্ত্রী টানেলের সঙ্গে চট্টগ্রামের আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। জেলা পরিষদ টাওয়ারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ নির্মাণের মাধ্যমে এ অভিযাত্রায় সামিল হতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ আরও এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি।অপর দিকে, টানেল যুগে প্রবেশ উপলক্ষে জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সাজ সাজ রব উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এরই মধ্যে জনসভাস্থল আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠজুড়ে চলছে প্রস্তুতি।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছে, স্মরণীয় এই মুহূর্তকে রাঙ্গাতে ১০ লাখ মানুষের জমায়েত হতে যাচ্ছে জনসভায়। ২৮ অক্টোবর সকালে টানেল উদ্বোধন শেষে আনোয়ারার জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠ জুড়ে এখন রাজ্যের ব্যস্ততা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে টানেল উদ্বোধন ঘিরে জনসভার প্রস্তুতি। ৮ ফুট উচ্চতায় ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৮ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে মাঠে।

শুধু জনসভাস্থল নয়, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে লাগানো হয়েছে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন। নানা রঙ্গের এসব ব্যানারে নানা উন্নয়নের গল্প। টানেল যুগে প্রবেশের জন্য অধীর অপেক্ষায় এলাকাবাসী।চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যবস্থাপনায় এই সমাবেশ হলেও সমানতালে কাজ করছে মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ। সাথে আছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটও। নির্বাচনের আগে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সফলতা তুলে ধরার পাশাপাশি বড় ধরনের শোডাউনে তাক লাগিয়ে দিতে চায় ক্ষমতাসীন দল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন জানান, তবে শেষ মুহূর্তে জনসভার সময়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্রথমে ২৮ তারিখ বিকেল ৩টায় জনসভা শুরুর কথা থাকলেও এখন সেটি সকাল ১১টায় করা হয়েছে।
এই জনসভায় চট্টগ্রাম ছাড়াও তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালীরও বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নিবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন