৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বকেয়া বেতনের জন্য অর্ধশত ছাত্রীকে পরীক্ষার হল থেকে বেড় করে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা

নিউজ ডেক্সঃ
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থীকে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে দেয়নি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়মা বেগম। বকেয়ের অযুহাতে এসএসসির প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার হল থেকে
বের করে দেয়। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। একাধিক অভিবাবক জানান, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ চলতি অক্টোর, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন এবং কোচিংয়ের জন্য অগ্রীম ৩ হাজার টাকা দাবি করে। যারা এ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি সে সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে অপমান করে হাত থেকে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র রেখে হল থেকে বাইরে বের করে দেয়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ছাত্রী লামিয়া রোল-৩১ এর অভিভাবক মাহফুঝুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মেয়ের বিনামূলে শিক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়েদের কোন বেতন দিতে হবে না। তারপরেও নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করে থাকেন। স্কুলে কোচিং করানো নিষিদ্ধ থাকলেও তারা কোচিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে পরীক্ষার হল থেকে অপমান করে বের করে দেয়। ছাত্রী মিহি রোল-৪৫ এর অভিভাবক মাধবী জানান, দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারউপর স্কুলের দাবিকৃত অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্র ও খাতা রেখে বের করে দেয়। একই অভিযোগ ছাত্রী মিথিলা রোল-৮২’র অভিভাবক শামীমা, ছাত্রী সাদিয়া রোল-১০৯’র অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম করেন। এ ব্যপারে উপজেলার মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসার আ: কাইয়ূম বলেন, প্রশ্নপত্র হাতে দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়া যায় না। আর এতে করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল আটককে রেখে বকেয়া আদায় করা যেতে পারে। তবে কোন কোচিং বাবাদ টাকা চাইতে পারে না। এ ব্যপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়মা বেগমকে মোবাইলে কল দিলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে স্কুলের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমি প্রধান শিক্ষকে এ কান্ড করায় চাপ প্রয়োগ করেছি সে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করেছি।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন