১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হাঁস নিয়ে বিরোধ, নিজের কক্ষে দুই ভাইকে পেটালেন ওসি

মোজাম্মেল হক লিটন নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই ভাইকে থানায় আটকে বেধড়ক পেটানের অভিযোগ উঠেছে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার মো. পারভেজ (২৪) উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডে যুবলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী। মো. হৃদয় (২০) যুবলীগ নেতা পারভেজের চাচাতো ভাই। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ভুক্তভোগীদের দাবি গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে হাঁস নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওসি তার কক্ষে তাদের দুই ভাইকে মারধর করেন। তবে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা মিথ্যা। পিঠের দাগ গুলি আপনারা দেখেন। পুলিশ কি এভাবে মারে। আমি এ একটাই প্রশ্ন রাখলাম। ভুক্তভোগী পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার ধানখেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে তার চাচা আবু জাফরের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমাম উদ্দিনের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেলের দিকে চর জব্বর থানার একদল পুলিশ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে আমাকে এবং আমার চাচাতো ভাই হৃদয়কে আরেক স্থান থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে শুক্রবার ও শনিবার সারা দিন থানার হাজতে আটকে রাখে। শনিবার বিকেলের দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য থানায় গিয়ে টাকাপয়সা দিয়ে আমাদের থানা হাজত থেকে বের করে নিয়ে আসেন। পারভেজ আরো বলেন, শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ তার কক্ষে দুই ভাইকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। আমার শরীরে এখনো মারের দাগ আছে। ওসি দেব প্রিয় দাশ আরো বলেন, লিখিত অভিযোগের আলোকে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। পরে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে দুই পক্ষ। এজন্য কোনো মামলা নেওয়া হয়নি।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন