৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঋষিধামে হলুদ কাছিমের আগমনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্

রুদ্র ডেক্সঃ

বাংলাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান, ঋষিধাম ও তুলসীধামের পূজনীয় মোহন্ত শ্রী শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ দেহত্যাগ করার পর থেকে ঋষিধামে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা ঘটে চলেছে। ভক্তদের মাঝে পূর্ণবিশ্বাস শিবকল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের মানসপুত্র শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ একজন আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি সারা বাংলাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভক্তদের জীবনে তিনি অলৌকিক বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছেন। নিষ্পাপ শিশুর মতো চুপচাপ থাকলেও স্বামীজি ছিলেন আধ্যাত্মিক মহাশক্তির অধিকারী। আধ্যাত্মিক শক্তিদিয়ে অনেক ভক্তের কল্যাণ করেছেন। সম্প্রতি ঋষিধামের একভক্ত বিরল প্রজাতির এক হলুদ কাছিম নিয়ে আসলে তা নিয়ে ভক্তদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আধ্যাত্মিক জগতের শিরমণি শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ হলুদ কাপড় ধারণ করতেন। অন্যদিকে বিরল এই কাছিমটির গায়ের রঙ হলুদ, সনাতন শাস্ত্রে কাছিমকে শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়।
তাই স্বামীজি ব্রহ্মলীন হওয়ায় পর থেকে বিভিন্ন ঘটনার সাথে কাছিমের আগমনের ফলে ভক্তদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। অনেকে বলছেন এর মাধ্যমে শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ আমাদের দেখা দিয়েছেন।
অন্যদিকে হলুদ সম্পর্কে, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপের ইংরেজি নাম Elongated tortoiseএবং বৈজ্ঞানিক নাম Imdptestido elongata। এরা মূলত ডাঙ্গার কচ্ছপ। অন্য যেসব কচ্ছপ আমরা পানিতে দেখি তারা ডাঙ্গায় বেশি সময় থাকে না। কিন্তু এ কচ্ছপটি ডাঙাতেই বেশি সময় থাকে। এর ফলে এ প্রাণীটি খুব সহজেই মানুষের নজরে আসে। পানির কচ্ছপগুলো তো সব সময় দেখা যায় না। ডাঙায় থাকে বলেই এটিকে মানুষ প্রায়ই মাংসের জন্য হত্যা করে। আর এভাবেই এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ বনেই এদের বসবাস। এরা আকারে ৩৩ সেন্টিমিটার এবং ওজনে প্রায় তিন কেজি হয়ে থাকে। এরা মূলত নিরামিষভোজী। এরা বিভিন্ন পাতা, সবুজ কচি ঘাস, ফুল, ফল ও ব্যাঙের ছাতা অর্থাৎ ফাঙ্গাস খায়।’ তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশে প্রায় ২৯ প্রজাতির কচ্ছপের বিচরণ রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই এখন বিপন্ন। এর মধ্যে হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপও আজ বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীজুড়েও মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত একটি প্রাণী হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) ‘লাল তালিকাভুক্ত’ প্রাণী হিসেবে এদের চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ যারা অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।” লেখক : লিপটন দেবনাথ লিপু

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন