
সম্পাদকীয়ঃ
ষাটের দশকে এই বুদ্ধিজীবীরাই ক্ষুরধার লেখনী আর কর্মকাণ্ডে দেখেছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন। লড়ে গেছেন আমৃত্যু প্রতিক্রিয়াশীলতা আর উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে। তাদের লেখনীই জাগিয়ে তুলেছিলো একটি সম্পূর্ণ মুক্তিপাগল প্রজন্মকে। যাদের হাত ধরে উদিত হয়েছিলো হাজার বছরের পরাধীনতার জিঞ্জির ছিন্ন করে স্বাধীনতার সোনালী সূর্য।একারণেই স্বাধীনতার মাত্র দুদিন আগে এই ১৪ই ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী আর জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামীর পরিকল্পনায় , ছাত্রসংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির) এর সদস্যদের নিয়ে গঠিত , “আলবদর” বাহিনীর “ব্ল্যাক সোয়েটাররা” কারফিউ জারি করে তার মধ্যেই বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের্।যাদের কলমের কালির কারণে হাজার বছর টিকে থাকার “পাক সার জমিন” এর স্বপ্ন হাওয়ায় মিলিয়ে যায় মাত্র ২৪ বছরে , তারা জীবিত থাকলে নতুন দেশে যে আর অস্ত্বিত্বই খুজে পাবেনা তারা। তাই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ব্লু প্রিন্ট একে সরিয়ে দেয়া হয় এই পথের কাটাদের্। যাতে ভবিষ্যতে একদিন নিজেদের ” খাস আবর্জনা” গুলো দিয়ে দখলে নেয়া যায় বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের আকাশটুকু।আর সে কর্মে তারা যে বহুলাংশেই সফল , সেটা এই “কাদের হারিয়ে কাদের পেয়েছি” কোলাজটুকু দেখলেই আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়েনা। উনাদের কলমের কালি দাবানল ছড়িয়ে দিয়েছিলো টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। জন্ম হয়েছিলো একটি স্বাধীন রাস্ট্রের্। বাঙালী জাতি পেয়েছিলো তার সঠিক আত্মপরিচয়ের সন্ধান।আর এনারা ব্যস্ত থাকেন সকাল বিকাল মিথ্যাচার আর আজগুবী ডায়লগের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে পকেট ভরানোর একাগ্র অনুশীলনে।আসলেই , “কাদের হারিয়ে কাদের পেয়েছি আমরা?”শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পূণ্য স্মৃতির প্রতি জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি
