
নিউজ ডেক্সঃ
সনাতন ধর্মের দশবিদ সংস্কারের মধ্যে বিবাহ একটি অন্যতম সংস্কার। অগ্নি সাক্ষী রেখে সাত পাক প্রদক্ষিণ করে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে নবদম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এখন যেন স্বার্থিকতা হারিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে।আমরা হারিয়ে যেতে বসেছি আমাদের অনেক অতীত। সেটাকে পুনর্জীবিত করতে পুনরায় মন্দির ভিত্তিক বিবাহ আরম্ভ হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বায়েজিত থানার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল নাথের বড় ভাইয়ের মেয়ে শ্রীমতি রাত্রি নাথ এর সহিত হাটহাজারী মেহল নিবাসী শ্রীমান রুবেল নাথের বিয়ে নন্দিরহাটস্থ সাহা পাড়া রাধা কৃষ্ণের জীউর মন্দির প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়। ক্লাব বিবাহ যুগে মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করাই আমন্ত্রিত অতিথিরা উজ্জ্বল নাথকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। উক্ত বিয়েতে উপস্থিত হয়ে নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করেন মেহল পুন্ডেরিক ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী,বাগীশিক কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট তপন কান্তি দাশ,পাচুরিয়া তপবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবিশ্বরানন্দ মহারাজ ও অন্যান্য গুণীজনেরা। এ বিষয়ে উজ্জ্বল নাথের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন বিলাস বহুল ক্লাবে বিবাহ দেওয়া মানে টাকার শ্রাদ্ধ করা। আমাদের ধর্মীয় যে বৈদিক বিধি-বিধান আছে তা স্বার্থিক ভাবে ক্লাবে মানতে পারে না।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার বড় ভাইয়ে মেয়েকে মন্দির থেকে বিবাহ দিব এবং ধর্মীয় স্বার্থিকতা অক্ষুন রাখিব। তিনি আরো বলেন এখন থেকে আমাদের একটায় স্লোগান হওয়া উচিত আর করবনা ক্লাবে বিয়ে, করবো বিয়ে দেবালয়ে গিয়ে।
