
নিউজ ডেক্সঃ
মাদারীপুরের কালকিনি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়েছিল সন্তান সম্ভাবা ফাতেমা আক্তারকে। তবে পথেই জন্ম নেয় তার প্রথম সন্তান। এরপর একে একে জন্ম নেয় আরও চার সন্তান। কিন্তু দিনভর কয়েক হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচানো যায়নি পাঁচ নবজাতকের কাউকেই।১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে ফাতেমার ফুফাতো ভাই ফাহাদ হোসেন রুদ্র সংবাদকে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, সাড়ে ছয় মাস বয়সে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করার পরপরই তাদের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিউ) নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা মেলানো যায়নি। বিকেলে ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে এনআইসিউ মিললেও বাঁচানো যায়নি কাউকে।ফাহাদ হোসেন বলেন, ‘মাদারীপুরের কালকিনিতে বসবাস করেন ফাতেমা। ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতেন তিনি। প্রথমে চিবিৎসক বলেছিলেন তার পেটে চারটি বাচ্চা। তবে জন্ম হয় পাঁচ শিশুর। ফাতেমা সাড়ে ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। আজ ঢাকায় আসার পথে একটি বাচ্চার জন্ম হয়। তাকে বাঁচানো যায়নি। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুপুর ১২টায় বাকি চার শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু ইবনে সিনা হাসপাতালে এনআইসিইউ না থাকায় তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও এনআইসিইউ খালি ছিল না। এরপর মারা যায় আরও দুই শিশু। বিকেলে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে এনআইসিইউ পাওয়ায় সেখানে দুই শিশুকে রাখা হয়। তবে সেখানে রেখেও বাঁচানো যায়নি তাদের।’তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এই পাঁচ নবজাতককে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না। এই কষ্ট রাখবো কোথায়! কাকে বলবো!ফাতেমার স্বজনরা জানান, তারা কল্যাণপুর থেকে শিশু হাসপতালে আসার সময় যানজটে পড়েন। ফলে চার শিশুর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও এনআইসিইউ পাওয়া যায় না। বিকেলে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে এনআইসিইউয়ের সন্ধান পেলেও সেখানে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছিলেন না। এরপর ৯৯৯-এ কল দিয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হলেও যানজটে আসতে হয়। এরপর এক রোগীকে নামিয়ে দিতে আসা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা ছোটেন রেনেসাঁ হাসপাতালে হাসপাতালে। তবে দেরি হয়ে যাওয়ায় তাদের আর বাঁচানো সম্ভব হয় না।
