৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্রগ্রামে তীব্র শীতে উষ্ণতার খোঁজ, ভিড় গরম কাপড়ের দোকানে

মাসুদ পারভেজঃ

তীব্র শীতে উষ্ণতার খোঁজ, ভিড় গরম কাপড়ের দোকানে নগরের নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে ক্রেতার ভিড়।মাঘের শুরু থেকেই কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়া। বেলা বাড়তে সূর্যের দেখা মিললেও সূর্যের সেই তেজ পাওয়া যাচ্ছে না।শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাই তীব্র শীত থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড়ের খোঁজে হকার মার্কেট থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল এবং ফুটপাতের দোকান সব জায়গাতেই এখন ক্রেতার ভিড়।সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের নিউমার্কেট, কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট, দুই নাম্বার গেইট, মুরাদপুর ও জিইসি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় শপিংমল ও ফুটপাতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শিশু ও বয়স্কদের কাপড় কেনার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।তবে শপিংমলগুলোতে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ ঝুঁকছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শীত বেশি পড়ায় খুশি বিক্রেতারা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় ক্রেতারা আগেভাগেই গরম কাপড় কিনতে আসায় বিক্রেতারাও বেশ খুশি।বিক্রেতারা জানান, জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, কোর্ট, মাফলার, হাতমোজা ও পা মোজা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাতগুলোতে কম মূল্যে নতুন কাপড়ও বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুধু অল্প আয়ের মানুষরাই নয়, এখানে কেনাকাটা করছেন মধ্যবিত্ত পরিবারসহ অনেকেই। এছাড়া হাত মোজা, কানটুপি ও ছোটখাট শীতের পোশাক মিলছে ১০০ টাকার ভেতরেই।অফিস-আদালতে কাজ-কর্ম সেরে বিকেলে নগরের নিউমার্কেট, হকার মার্কেট, ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে শীতের পোশাক কিনতে আসছেন অনেকেই।নগরের নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, এবছর শীত বেশি পড়ায় ক্রেতারা আগেভাগেই গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। বড়দের কাপড়ের পাশাপাশি শিশুদের কাপড়ও বেশ বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে বেশি ভিড় হয়। এছাড়াও প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়।হকার্স মার্কেটের পুরোনো কাপড় বিক্রেতা রাকিব হাসান বলেন, অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে এবার শীতের কাপড়ের চাহিদা বেশি। প্রকারভেদে জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।ফুটপাতে পুরাতন জ্যাকেট কিনতে আসা সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুল আলীম বলেন, শীতে সকাল বেলায় গাড়ি নিয়ে বের হলেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পেয়ে বসে। একটা শীতের কাপড় ছিল। সেটি একটু হালকা হওয়ায় শীত মানছে না৷ বাধ্য হয়ে আরেকটা মোটা কাপড়ের কিনতে এসেছি। ভাবছিলাম ২০০ থেকে ২৫০ মধ্যে একটা জ্যাকেট কিনবো। এসে দেখি দাম বেশি। তাই ৩৫০ টাকা দিয়ে জ্যাকেটটা কিনলাম।নিম্ন আয়ের মানুষরা জানান, বড় শপিংমল ও শোরুমে সুন্দর কাপড় থাকলেও দাম তাদের সামর্থ্যের বাইরে। এজন্য তারা ফুটপাতের দোকানে আসছেন। এখানে পুরাতন কাপড় কম দামে পাওয়ায় যায়।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন