৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর ৯ হটস্পট শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মাক আকারে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ডেঙ্গু রোগীয় হাসপাতারে ডাক্তার মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।হাসপাতালগুলোতে রোগ বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, নেক্সট জেনারেশন, আইসিডিডিআরবি, রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন ল্যাব এই গবেষণায় অংশ নেয়। ডেঙ্গুর জিনোম ও রোগতত্ত্ব নিয়ে চট্টগ্রামে এটিই প্রথম গবেষণা বলে দাবি এসপিয়ারের।জানুয়ারি থেকে ১০ নভেম্বর এই দশ মাস দশ দিনে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রেকর্ড সাড়ে ১২ হাজার। এই সময়ে মারা যান ৯২ জন, যার ৩৩ জনই শিশু। ডেন-ওয়ান সেরোটাইপের প্রভাবে শিশু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে।নগরীর তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেড় হাজার রোগীর কাছ থেকে নেওয়া নমুনা বিশ্লেষণ করে গবেষকদল।বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. জাকির হোসেন বলেন, ‘গবেষণার তথ্য ডেঙ্গু রোগীর ৭৫ ভাগই বিপজ্জনক ধরন ‘ডেন- টু’ সেরোটাইপে আক্রান্ত। গবেষকরা জানিয়েছেন ডেঙ্গু নিয়ে অসচেতনতাই বিপদ বাড়িয়েছে। ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম এ সাত্তার বলেন, গবেষণায় ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিটি করপোরেশনের বায়েজিদ বোস্তামি, চকবাজার, কোতোয়ালি, বাকলিয়া, ডবলমুরিং এলাকা। আর সিটির বাইরে আছে কর্ণফুলী, পটিয়া, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী উপজেলা।’এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা আবদুর রব বলেন, ‘চট্টগ্রামের মতো আরও ৫টি জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে গবেষণা চলছে বলেও জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।’

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন