
নিউজ ডেক্সঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর হাটখোলা মাঠে ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন দু’পক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।একপর্যায়ে ধারালো ছোরা সহ ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা।এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।প্রায় ১ ঘন্টা পর পুলিশ মোতায়েন করে পুনরায় খেলা শুরু হয়।১২ সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার) দুপুরে কাশীপুর হাটখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ধারালো ছোরা সহ আটককৃত তাইফ(১৭),রাশেদ(১৭),বাবু(১৬) জয় গোবিন্দ স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বেশ কয়েকদিন যাবত গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা হয়।দুপুরে শুরু হয় জয়গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বার একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল খেলা।নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকারে গড়ায় ম্যাচ।যখন ট্রাইবেকার শুরু হয়,তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।শুরু হয় ধাওয়া – পালটা ধাওয়া,মারামারি।এসময় দুজন পুলিশ সদস্য এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।কিন্তু জয় গোবিন্দ স্কুলের শিক্ষক মাসুম এবং পরিচালনা কমিটির সদস্য এমএ রহিমের প্রকাশ্যে উস্কানীতে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাতে ধারালো ছোরা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করে।তখন উপস্থিত লোকজন একটা স্কুল ব্যাগের ভেতর ২টা ধারালো ছোরা সহ ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করে স্কুলের ভেতর নিয়ে যায় এবং ফতুল্লা থানায় সংবাদ দিলে আরও বেশি পুলিশ এসে ছোরা সহ তাদেরকে হেফাজতে নেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।পরবর্তীতে পুলিশের উপস্তিতিতে পুনরায় খেলা শুরু হয়।জানতে চাইলে এস আই হারেস বলেন, ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল।তখন স্কুল ব্যাগের ভেতর ২টা চাকু সহ লোকজন ৩ শিক্ষার্থীকে ধরে রাখে।সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুনরায় খেলা শুরু করে দেই।পরে স্থানীয়দের অনুরোধে আটক ৩ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
