নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার থানাধীন উখিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাস ব্যাপি কুঠির শিল্প ২০২৫ মেলার গেইট টিকিটের উপর পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্টান নামকরণে র্যাফল ড্র নামে চলছে লটারি বাণিজ্য। লটারির ড্র প্রতিদিন কেবল অপরেটর এর মাধ্যমে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করছে ফলে লটারির খবর পৌঁছে যাচ্ছে হাতে হাতে ও ঘরে ঘরে,টেলিভিশনে৪২ নং চ্যানেলে সার্চ করলে র্যাফল ড্র লটারির লাইভ ভিডিও দেখা যাচ্ছে। এইসব লটারির টিকিট শুধু উখিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে নয়, টিকিট বিক্রির জন্য প্রতিদিন ২০০-২২০টি ইজিবাইক উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে ছুটছে পুরো কক্সবাজার উপজেলা সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলি গলি বাজারে। একেকটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টিকিট বিক্রয় করেন। প্রতিটি টিকিট মূল্য নিচ্ছেন ২০ টাকা করে,সেই হিসেবে (১০০০×২০=২০,০০০) টাকা, গড়ে দৈনিক প্রায় ৪০/৫০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পুরস্কারের লোভে লটারির ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রিকশা-ভ্যানচালক, নির্মাণশ্রমিক ও দিনমজুরের মতো শ্রমজীবী মানুষ। এমনকি কোমল মতি শিশু থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও লটারির টিকিট কিনছে। গভীর রাতে পর্যন্ত চলে ড্র অনুষ্ঠান। র্যাফল ড্র নামক লটারিতে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হওয়ায় ও শিশুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় লটারির অনুমোদন ও বন্ধের বিষয়ে লটারির পরিচালক”মোঃ জাবেদ “এর কাছে জানাতে চাইলে রুদ্র সংবাদ কে মোঃ জাবেদ বলেন লটারির বিষয়টি ( কক্সবাজার জেলাপ্রশাসক) সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সকলে অনুমতি ক্রমে চলছে।আরো বলছেন আমরা এলকার স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়ক ও জেলা প্রশাসকে ম্যানেজ করতে বড় অংকের টাকা খরছ হয়েছে, আমদের চৌদ্দ দিন চলেছে, আর ষোল দিন চালিয়ে মেলা শেষ করে দিব। তাছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মী থানা+ পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে প্রতিদিন অনেক খরছ।এই অবৈধ লটারির অনুমোদন ও বন্ধের বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উনাকে ফোন করা হলে উনি রুদ্র সংবাদ কে বলেন লটারী চালানোর অনুমোদন জেলাপ্রশাসক স্যার দিয়েছেন আর আমি এসব বিষয়ে কিছু জানিনা। এই অবৈধ লটারির অনুমোদন ও বন্ধ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট জানতে চাইলে উনি রুদ্র সংবাদ কে বলেন মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং লটারি সম্পর্কে আমি জানি না। যদি মেলার পরিচালক মেলার নামে লটারি বাণিজ্য করে থাকে তাহলে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নিব।
