৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে

শিমুল কুমার নাথঃ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল থেকেই পুরো আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ উভয় আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং তদন্তেপ্রাপ্ত অপর আসামি রিপস দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, আইনজীবী আলিফ খুনের মামলায় আসামি চন্দন ও রিপনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চন্দন দাসের সাতদিন ও রিপন দাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন