৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজাদ হত্যার দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন

মাসুদ পারভেজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এই  রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তৎকালীন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহফুজ আলী,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন কমান্ডার ইসমত আলী ও নয়াহাটি গ্রামের মোকাররম হোসেন।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, সৈয়দটুলা গ্রামের আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, নয়াহাটি গ্রামের ইদ্রিস আলী,বাবু, কুট্টাপাড়ার হারিছ, নয়াহাটির বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ  শরিফ ও মিজান।চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি অশোক কুমার দাশ বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে আওয়ামী লীগের নেতা একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৪ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জন আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠনের জের ধরে খুন হন ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মাস পর গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ আরও ৭ জনের নাম অর্ন্তভূক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে মামলা চলাকালীন দুজন মারা গেছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন