
শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়িঃ
পাহাড়ি জনপদ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কের পাশে থাকা গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এছাড়া দীঘিনালা উপজেলায় বজ্রপাতে মা-ছেলে, মাটিরাঙ্গায় একজন ও রামগড়ে একজনসহ মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে।দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার ভোরে বজ্রপাতে ঘরে আগু গেলে মা ও ছেলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। নিহতরা হলেন, হাসিনা বেগম (৩০) ও তার শিশু সন্তান মো. হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালঅ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, ভোরে বজ্রপাতে টিনের ঘরটিতে আগুন ধরে যায়। নিহতরা বের হতে না পারায় পুড়ে মরদেহ অঙ্গার হয়ে যায়। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।অপরদিকে, রামগড় উপজেলার ডাক্তার পাড়ায় বজ্রপাতে গরজ চাকমা (৫০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে তার গৃহপালিত দুইটি গরুও মারা গেছে। আর বজ্রপাতে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশীকারবারী পাড়ায় সুমিকা ত্রিপুরা (২৭) নামে এক গৃহিনী নিহত হয়েছে। এসময় তার দুই ছেলে আহত হয়েছে। এসময় তার ঘরে থাকা তিনটি ছাগল মারা যায়। নিহত সুমিকা ত্রিপুরা একই এলাকার বাসিন্দা সুশেন ত্রিপুরার স্ত্রী। বজ্রপাতে আহত সুমিকা ত্রিপুরা দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এছাড়া হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
