
শুভংকর পাইক রুপকঃ
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলায় গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ইং সোমবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাতে ভুল চিকিৎসা ও অপারেশনে এক প্রসূতি ও তাঁর গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়।ভুল চিকিৎসায় নিহত ওই প্রসূতির নাম মেঘলা আক্তার (২০)। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী।উপজেলার ডৌয়াতলা বাজারের কলেজ রোডে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের মালিকানাধীন এই হাসপাতালে সোমবার বিকেলে মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসক হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ায় ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (অ্যানেসথেসিয়া সার্জন) ডা. সবুজ কুমার দাস নিজেই অপারেশন শুরু করেন। অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরপরই রোগী মারা যান।


পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে মৃত রোগীকে নিয়ে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। তারপর ভান্ডারিয়া পৌছালে সেখানে ভান্ডারিয়া একটা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু রোগী অনেক আগেই মারা যাওয়ায় ওই হাসপাতালে লাশ গ্রহণ করেনি।পরে তাঁরা নিহতের বাবা লাশটি বাড়িতে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর থেকে সুন্দরবন হাসপাতালের মালিক, ডাক্তার, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যান।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতি মেঘলা আক্তার ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা সেখানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান বলেন, ‘আমরা হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
