
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
অনেকে ঝুপ ঝাড়ে পুকুর পাড়ে নির্জনে লুকিয়ে রাত কাটান জঙ্গলে।কেউ ব্যাবসায়ী কেউ চাকরিজীবী মোঃ হামিদুল ইসলাম আগ্রাদ্বিগুন বাজারে ছোটখাটো ব্যবসার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সময় দিতেন। সেই থেকেই রাজনীতি শুরু দীর্ঘদিন আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নে ছাত্রদলের কমিটি না থাকায় সময় দিতেন অনলাইন প্লাটফর্ম জিয়া সাইবার ফোর্স এবং দেখা পান রাজনীতি করার অধিকার মোঃ হামিদুল ইসলাম জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক, এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক,এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে ফেরারি। নিজেকে লুকিয়েছেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন, যার প্রধান আয়ের উৎস নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই টেলিকম এ রকমই আরেকজন মোঃ আরিফুল ইসলাম।২৮ অক্টোবরের পর থেকে থাকতে পারছে না নিজ বাড়িতে । গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পুলিশের ভয়ে কোন আত্মীয়ের বাড়িতে থাকারো সাহস নেই। রাত কাটছে নির্জন জায়গায় ।মামলা-হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে হামিদুল / আরিফ এর মতো আরও অনেকেই এখন এলাকা ছাড়া । কথা হয় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে,তারা সবাই বিএনপির মিছিল-সমাবেশে যেতেন। ২০১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মামলায় ঘরছাড়া হয়েছেন। এখনও এলাকায় যেতে পারেন না। তবু এবারের মামলার আসামি তারা। লেখাপড়া তেমন করেননি বলে চাকরিও পাননি।তাই বাধ্য হয়ে রিকশা চালান। কেউ দিনমজুর কেউ কেউ ছোটখাটো ব্যবসায়ীজিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলার প্রচার সম্পাদক বলেন’রাজনীতি করি, কোনো অপরাধ করি না। তবে আমাদের জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার সহ প্রতিটি উপজেলা থেকে জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং আমাদের জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ অনেককেই আসামি করে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা গায়েবি। সেইদিন নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। তবুও মিথ্যা মামলা দিয়ে জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ সভাপতি ,জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার ভাই , সহ অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে আমি তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, যেকোন সময় আমি গ্রেফতার হতে পারি,এজন্য গ্রেপ্তার এড়াতে লুকিয়ে আছি।যুবদল নেতা আরিফ চাকরির কারণে, এলাকায় থাকলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও হয়রানি করে। বাহিরে থাকলে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা। মামলার গ্যাঁড়াকলে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা। দলটির প্রায় নেতাকর্মীর নামেই রয়েছে একাধিক মামলা। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর এখন তা আরও গতি পেয়েছে। সঙ্গে চলছে গ্রেপ্তার আর তল্লাশি। বিএনপির দাবি, মহাসমাবেশের পর সারাদেশে ৭০৭টি মামলায় ১৬ হাজার ৭০১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওইসব মামলায় আসামি হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬০৮ জন।নেতাকর্মীরা জানান, এর পরও অনেকে এলাকায় মাটি কামড়ে রয়েছেন। তবে তারা সবাই বাড়িছাড়া। বনে-জঙ্গলে, বাগানে, পুকুরের মাচা, ধানক্ষেত কিংবা মাঝনদীতে নৌকায় রাত যাপন।
