১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহীতে আ. লীগের দাপট দেখিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার জমির মামলায় হয়রানি

রাজশাহী প্রতিনিধি:

দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত মামলা দিয়ে হয়রানি, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং সর্বশেষ ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তার হোসেন, যিনি রাজপাড়া থানার বসুয়া এলাকার ইনসান উদ্দিনের ছেলে।তিনি বলেন, “আমার ক্রয়সূত্রে বসুয়া মৌজার দাগ নম্বর ৪৩৫ ও আরএস খতিয়ান নম্বর ২৫০-এর সম্পত্তিতে আমি ও আমার ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সুকতার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। সম্প্রতি বাড়ির সামনে বিল্ডিং প্লাস্টারের জন্য নিজ দাগের জমিতে সিমেন্ট-বালু মেশাচ্ছিলাম। হঠাৎ মৃত মহসিনের মেয়ে ফিরোজা ও তার বোন প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে এসে কাজে বাধা দেয় এবং সুকৌশলে ভিডিও ধারণ করে।”তিনি অভিযোগ করেন, ফিরোজারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবার। ফিরোজার ভাই আতাউর হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অপর ভাই আসলাম উদ্দিনও আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আসলাম ও আতাউরের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া থানায় দুটি মামলা হয় (বোয়ালিয়া-৩৮৮/২৪, রাজপাড়া-১১৩(৬)/১)।মুক্তার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ওই পরিবার আমাদের বিরুদ্ধে ৬-৭টি মিথ্যা মামলা দিয়েছিল, যেগুলোর সবকটিতেই আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবুও তারা নানাভাবে হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে।”তিনি আরও জানান, গত ১১ আগস্ট দুপুরে বাড়ির দেয়াল প্লাস্টারের সময় ফিরোজাসহ তিনজন মহিলা এসে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে এবং আওয়ামী লীগের দাপট দেখায়। ফিরোজা তখন বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না, তাতেই আপনারা ক্ষমতাবান হয়ে গেছেন?’ জবাবে মুক্তার বলেন, ‘হ্যাঁ, বিএনপির ক্ষমতায় কাজ করছি।’তার অভিযোগ, “ফিরোজা ইচ্ছাকৃতভাবে ভিডিও ফুটেজ থেকে আগের কথোপকথন বাদ দিয়ে শুধু ‘বিএনপির ক্ষমতায় কাজ করছি’ অংশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, যাতে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।”সংবাদ সম্মেলনে মুক্তার হোসেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন