৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভগ্নিপতিকে প্রকাশ্যে কোপাল শ্যালক ও ভাগিনা

দলিল উদ্দিন গাজীপুরঃ

ভগ্নিপতিকে প্রকাশ্যে কোপাল শ্যালক ও ভাগিনা
গাজীপুর মহানগরের ১৯নং ওয়ার্ডের নাগা এলাকায় জমিতে গরু প্রবেশের দ্বন্দ্বে ভগ্নিপতি ওমেদ আলীকে (৬৫) প্রকাশ্যে কুপিয়েছে শ্যালক ও শ্যালকের ছেলে। প্রকাশ্যে কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে গুরুতর আহত বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওমেদ আলী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাগা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর বৃদ্ধের মেয়ে ওহেদা খাতুন বাদি হয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানায় বৃদ্ধের শ্যালক সাহিদ, তার স্ত্রী রেবেকা ও তার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পতিত জমিতে বৃদ্ধ ওমেদ আলীকে মাটিতে ফেলে শ্যালক সাদিক পেটাচ্ছে এবং তার ছেলে সাদ্দাম ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে। উপস্থিত কয়েকজন নারী চিৎকার করছেন। উপস্থিত কেউ বাধা দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন না,বৃদ্ধের মেয়ে ওহিদা খাতুন বলেন, আমার বাবা বাড়ির কাছে মসজিদের পাশেই ছোট ঘর তুলে থাকেন। মসজিদের আশপাশে বেড়া দিয়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। বিভিন্ন সময় আমার মামার গরু ওই শাক সবজি ও গাছপালা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বাবা বিভিন্ন সময় সতর্ক করেছিল। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা ও গাছপালা রক্ষার জন্য মামাকে বার বার সতর্ক করার পরও তিনি শুনেননি। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিতর্ক হলে মামা বাড়ি চলে যান। আর বাবা মসজিদের পাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় মামা সাহিদ ও মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন বাঁশ ও কাঠের শক্ত লাঠি দিয়ে এসে বাবাকে পেটানো শুরু করে। বাঁশ ও কাঠের লাঠি ভেঙ্গে গেলে বাবার কাজ করা দা নিয়ে তাকে কোপায়। পরে আমরা গিয়ে বাবাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি।তিনি আরও বলেন, কোপানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সাহিদ নিজেই নিজের হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখন পুলিশ পাহারায় রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।মামলার আসামি সাহিদ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাকেও তিনি পিটিয়েছেন, আমার স্ত্রীকেও মারধর করেছেন। পরে আমার ছেলে রেগে গিয়ে তার ওপর আক্রমণ করেছে। আমার দুলাভাই লোক ভালো না, নেশা পানি খায়, বোনের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো না। আমি হাসপাতালে আছি, আমিও মামলা করবো।গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই ঘটনার পর একটি মামলা হয়েছে। মামলার একজন আসামি হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় রয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন