৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন কম পাওয়া যাচ্ছে ৪০ মিলিয়ন এমএমসিএফ গ্যাস

মাসুদ পারভেজঃ

চট্টগ্রাম: প্রতি বছরের মতো এবারও শীতে নগরে গ্যাস সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, শীতকালে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার বেশি। এসময় বাসাবাড়িতে ২০ শতাংশ বাড়তি গ্যাস ব্যবহার হয়।গরম পানির ব্যবহার বেশি হওয়ার ফলে গ্যাসের চুলার ব্যবহারও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় গ্যাসের স্বাভাবিক যে প্রবাহ তা ঠিক থাকে না।গ্যাসের লাইনে এ সময় তেল জাতীয় পদার্থ জমে যায় এবং গ্যাস ঘন হয়ে যায়। আর গ্যাসের প্রবাহ কমে যাওয়ায় তৈরি হয় গ্যাস সংকট।এজন্য এই সময়ে সংকটও বেশি।জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। বন্দরনগরীর দৈনিক চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক স্ট্যান্ডার্ড ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এই সংকট। কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে চট্টগ্রামের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ৩২০ এমএমসিএফ থেকে ২৮০ এমএমসিএফে নামিয়ে আনা হয়েছে।তাছাড়া, দেশের কৃষিখাতে সারের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রামের ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (কাফকো) নিরবচ্ছিন্ন উত্পাদনের স্বার্থে কেজিডিসিএলকে এ দুই কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ কারণে গৃহস্থালি খাতে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা জানান।কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ২৮০ এমএমসিএফ গ্যাসের মধ্যে দুটি সার কারখানায় ৭৫ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩৩ এমএমসিএফ এবং সিএনজি-রিফুয়েলিং স্টেশনে ১২ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বাকি গ্যাস যাচ্ছে বাসাবাড়িতে ও অন্যান্য শিল্প কারখানায়।কেজিডিসিএলের এক কর্মকর্তা বলেন, কৃষিখাতে সারের চাহিদা মেটাতে এ সময়ে চট্টগ্রামের দুটি সার কারখানা পুরোপুরি চালু থাকে। নিরবচ্ছিন্ন সার উৎপাদনের জন্য কেজিডিসিএলকে এই দুই কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে হয়। গৃহস্থালিতে গ্যাস সংকট সৃষ্টির অন্যতম কারণ এটি।পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান বলেন, এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে বরাদ্দ কম দেওয়া হচ্ছে। সার, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন