৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে অবরোধে অগ্নি সংযোগ জড়িত ডিবি “স্পেশাল টিমের জালে -৩

মাসুদ পারভেজঃ

চট্টগ্রাম:সিএমপি,মহানগর গোয়েন্দা ডিবি (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগ কর্তৃক জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী জনগনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আটক। চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত খুলশী থানাধীন দামপাড়া এলাকায় গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ,গাড়ি ভাংচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দেয়ার মামলার দুষ্কৃতকারী আসামী “স্পেশাল টিম” কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ০৩ (তিন)জন আটক।আজ ৫ডিসেম্বর,দুপুর ১২টায়,ডিবি (উত্তর /দক্ষিণ) অফিস, মনসুরাবাদ, চট্টগ্রাম,ডিবি (উত্তর /দক্ষিণ) কর্তৃক গ্রেফতার সংক্রান্তপ প্রেস ব্রিফিং করা হয়।গত ৪ডিসেম্বর রাত ১০-১২ মধ্যে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকা হতে খুলশী থানার এলাকা হতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১। মোঃ হৃদয় (২২) ২। মোঃ নাজির শরীফ (২১) ও ৩। মোঃ রায়হান (২৪) দের আটক করে।অভিযানে ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোসাঃ সাদিরা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে,অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শেখ সাব্বির হোসেন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ মোস্তফা কামাল এর দিকনির্দেশনায় “স্পেশাল টিমের” ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রিপন কুমার দাস এর নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম আসামিদের আটক করে।আটক ব্যক্তিদের’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিন এর নির্দেশে খুলশী থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব নূর আলম সোহাগ এর নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী মোঃ হৃদয়,মোঃ নাজির শরীফ,ও মোঃ রায়হানসহ আরো ১০/১২ জন ছাত্রদলের সদস্যগণ দামপাড়াস্থ সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করে পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেইট সংলগ্ন রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৮৬৩ রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট লিঃ এর একটি বাস ভাংচুরসহ বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।এতে গাড়ির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আটককৃত মোঃ হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেয়, নাজির শরীফ ও মোঃ রায়হানসহ অন্যান্য আসামীরা মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাংচুর করে।আটক হৃদয় জানায় বাসে আগুন দেয়ার সময় তার বাম হাত আগুনে পুড়ে যায়। তার হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে,”তাদের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় মূলত বাস চালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য”।উক্ত ঘটনা ছাড়াও পূর্বে গত ৩১ অক্টোবর, গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় বাসে আগুন দেয়া ও গত ১ডিসেম্বর, পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাটি তারাই সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করে।আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে তাদের এই সকল ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলমান ছিল। খুলশী থানা মামলা নং-০৩, ০৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ১৯০৮ এর ধারা-৩/৪/৬ তৎসহ ১৪৩/৩২৬/৪২৮ পেনাল কোড ১৮৬০।তথ্য নিশ্চিত করেছেন,অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক (এডিসি) (পি আর) বাংলাদেশ পুলিশ,পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়,চট্টগ্রাম।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন