
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মহাশশ্মানে চলছে দিপাবলীর প্রস্তুতি আগামী ২৪ কার্তিক,১১নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দিপাবলী। এ দিন শ্মশানে আলো জালিয়ে পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে প্রয়াত প্রিয়জনদের স্মরণ করবেন স্বজনরা। প্রতি বারের ন্যায় এবারও এশিয়া উপ মহাদেশের সর্ববৃহৎ বরিশাল মহা শ্মশানে অনুষ্ঠিত হবে শ্মশান দিপাবলী অনুষ্ঠান। আর প্রিয়জনদের সমাধীতে নতুন রূপ দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্বজনরা।মহা শ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানিয়েছেন, দিপালী উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর কাউনিয়াস্থ মহা-শ্মশান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সমাধীতে নতুন ভাবে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বজনরা। কেউবা মাটির সমাধী তৈরী করছেন, কেউ আবার পাকা সমাধীতে রংঙের আচর দিচ্ছেন। মা-বাবার সমাধিতে সাজ সজ্জার কাজ করতে আশা নগরীর বাজার রোড নিবাসী বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বরিশাল জেলা কমিটির উপদেষ্টা সঞ্জীব কুমার সোম জানান। বছরের অন্যান্য সময় শ্মশানে এলেও দিপালী উৎসব উপলক্ষে তিনি তার প্রয়াত মা-বাবা, ঠাকুরমার সমাধীতে নতুন রূপে সাজাতে এসেছেন। নগরীর ভাটিখানার আরেক স্বজন গবিন্দ দাস নাথু বলেন, তিনি তার বাবা-মার সমাধী তৈরী করতে এসেছেন।

যাতে দিপালী উৎসবের দিন সেখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। এদিকে শ্মশানে অনেক সমাধী রয়েছে যার কোন স্বজন এখানে আসেন না কিংবা কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। তাদের সমাধীতে শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে রংঙের কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব সঞ্জীব সিংহ বর্মন জানিয়েছেন।শনিবার বিকেল ৩:২ মিনিটে ভু-চতুর্দশী শুরু হবে এবং রবিবার দুপুর ২:৫৮ মিনিটে শেষ হবে রাত ১২.১ মিনিটে শশ্মান কালিপূজা শুরু হবে। এদিকে শ্মশান দিপালী উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সভা করা হয়েছে। সভায় ধর্মীয় দিপালী অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে এবং কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়। শ্মশান দিপালী উৎসব উপলক্ষে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব হচ্ছে বরিশাল মহাশ্মশানে দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটনা না ঘটতে পারে সেই ব্যাপারে কাউনিয়া থানার পক্ষ থেকে দেয়া হবে ব্যাপক নিরাপত্তা। প্রতিটি শশ্নানে তাদের আত্নিয়-স্বজনরা তাদের শশ্নানে মোমবাতি দিয়ে আলোকিত করে তুলে তাদের আত্নার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হবে। এ উৎসব বাঙ্গালীর হ্নদয়কে আন্দোলিত করে মহাউৎসবে পরিনত করে তুলবে।
