
স্পোর্টস ডেস্কঃ
তাসকিন আহমেদ খেলবেন না, সেটা সাকিব আল হাসানই সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করে দিয়েছেন। কিন্তু সাকিব নিজে কি খেলবেন?ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব ও তাসকিন – দুজনকেই মিস করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাল মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম ম্যাচ, এটাতেও হেরে গেলে সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ বাংলাদেশের। এমন ম্যাচে সাকিবকে খুব বেশি করেই দলে চাইবে বাংলাদেশ। তা সাকিব নিজে কী বললেন নিজের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে? সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের উত্তরে কিছুটা শঙ্কা থেকেই গেল।

এখন পর্যন্ত অনুশীলনে, নেটে সাকিবকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি আগামীকাল খেলবেন। কিন্তু সে তো অন্যদের চোখের দেখা। সাকিব নিজেই তো নিজের ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের আগমন সাকিবের আগামীকাল খেলার ইঙ্গিতই দেয়। তবু সাকিব যখন সংবাদ সম্মেলনে, তখন তাঁকেই একবার জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টায় দু-তিনবার প্রশ্ন হলো কাল সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে।বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রথমে নিজের ফিটনেসের আপডেট নিয়ে প্রশ্নে বললেন, ‘ফিটনেসের আপডেট হচ্ছে, গতকাল যখন ট্রেনিং করেছি, নেগেটিভ কিছু অনুভব করিনি। আজকেও ট্রেনিং করব। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ফিট ইনশাআল্লাহ।’ভারতের বিপক্ষে নামার আগেরদিনও তো সাকিব ব্যাটিং করেছিলেন, কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছিল দৌড়াতে, বোলিং করতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওই দুই দিকে কী অবস্থা, তারওপরই নির্ভর করছে সাকিবের খেলা-না খেলা। এ নিয়ে সাকিবের বিশ্লেষণ, ‘ফিটনেস টেস্ট প্লাস ব্যাটিংয়ে কালকেও কোনো সমস্যা হয়নি। আজকেও হবে না আশা করি। রানিংয়ে যদি কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে খেলতে সমস্যা নেই।’ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রানিংয়েই যে সমস্যাটা হচ্ছিল, সেটাও জানালেন সাকিব, ‘হ্যাঁ, একটু তো অস্বস্তি লাগছিলই। ওই ভালো অবস্থাতে মনে হয় না ছিলাম। ওই ম্যাচটা খেলতে গিয়ে বাকি ৫ টা ম্যাচ মিস করি – এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হতো। এখন পর্যন্ত খুব ভালো অবস্থায় আছি। আমার কোন পেইন নেই, কোন কিছু ফিল হচ্ছে না। শারীরিকভাবে ভালো মনে হচ্ছে। এখন শুধু নিজেকে টেস্ট করে দেখা।’সাকিবের ক্যারিয়ারে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই প্রথম, যেখানে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে সাকিবকে ছাড়া নেমেছে বাংলাদেশ। এবার নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সাকিবেরও এ নিয়ে আফসোস আছে, ‘নিজে না খেলতে পারাটা আফসোসের বিষয়। প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ মিস করলাম। কোনো প্লেয়ারই কোনোভাবে চায় না ম্যাচ মিস করতে, সেখানে মিস করাটা কষ্টকর ছিলই।’

সে ম্যাচে ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন কোহলিদের কাছে বাংলাদেশের অসহায় হার। অধিনায়ক সাকিবের এ নিয়ে কোনো আফসোস কি আছে? তখন কি মনে হচ্ছিল যে মাঠে না থাকায় দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারছেন না? সাকিবের উত্তর, ‘মনে হয় না বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে কাউকে মোটিভেট করার দরকার আছে। সবারই মোটিভেশন আছে। যার যার জায়গা থেকে ভালো করছে। সমন্বিতভাবে ভালো করতে পারিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালোই কয়েকজন করেছে। এগুলো আরেকটু ভালো হলে, সমন্বিতভাবে হলে, আরও ভালো করতে পারতাম।’
