৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ওসি কে ম্যানেজ করে চলে জুয়া, সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান  রুবেল”কে ম্যানেজ করে চলে  মেলার নামে সর্ব-ধরনের জুয়ার আসর! উক্ত বিষয় ওসিকে ফোন দিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ওসি জুয়ার বিষয় জানেন না বলে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উলটো জুয়া নামল মেলা পরিচালনা কারীদেরকে সাংবাদিকের নাম্বার দিয়ে হত্যার হুমকি  প্রধান”র অভিযোগ উঠেছে।  খাগড়াছড়ি জেলা মানিকছড়ি উপজেলা থানাধীন মেলার নামে অবৈধভাবে জুয়া হাউজি অশ্লীল নৃত্য সহ চলছে দি আশার প্রদীপ র‍্যাফেল ড্র। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরি করে লটারির টিকেট বিক্রি করছে অর্ধশত ইজিবাই”কে। এসব লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন হাজারো মানুষ। সেই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বাড়ছে উপজেলার  বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়া মেলার মূল স্পটে অবাধে চলছে সব ধরনের জুয়া। যার কারণে ইতিমধ্যে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেকে। পারিবারিক অশান্তি দেখা দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে। এই বিষয়ে জানতে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কে ফোন দেন দৈনিক আজকের বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি তুষার কে । ওসি বলেন মেলায় জুয়া বিষয়ে তিনি জানেন না, যদি মেলায় জুয়া বা লটারি চলে তাহলে উনি আইনগত ব্যবস্থা করার কথা বলে ফোন কেটে দেন। পরক্ষণে সাংবাদিকের মুঠোফোন  নাম্বারে  মেলায় জুয়া পরিচালনাকারী বিজয় বদ্দন ও রবিন তালুক দার,  দিদার,  নামক ব্যক্তি , জুয়াড়ি বিজয় ও রবিন তালুকদার সাংবাদিককে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি প্রদান করেন ০১৫৭৫৪১১০২৮নাম্বার থেকে বলে জানা যায়। whatsapp জানান সাংবাদিকে ওসি সাহেব কল দিতে বলেছে। এই বিষয়ে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান  রুবেল সাথে যোগাযোগ  করলে তিনি জানান আমি  এই বিষয়ে কোন নাম্বার  দেয় নাই।  বিষয়টা দেখতেছি। জানা যায়,বিকেল হলে শুরু হয় একদিকে জুয়া খেলা হাউজি অশ্লীল নৃত্য ও ২০ টাকা মূল্যের এই লটারি। দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ নানা পুরস্কারের প্রলোভন। এসব লটারির মূল ক্রেতা রিকশা-ভ্যানচালক, চা দোকানদার, মুদি দোকানদার, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। পুরস্কারের আশায় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। এ ছাড়া লটারির ড্র  হয় গভীর রাত পর্যন্ত। এতে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে মানিকছড়ি উপজেলায়।গত ৫ জানুয়ারি থেকে মানিকছড়ি উপজেলা থানাধীন এই মেলা শুরু হয়েছে। জুয়া হাউজি অশ্লীল নৃত্য ও লটারির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ। এরই মধ্যে অনেকের পরিবারে অশান্তি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখেই মেলায়   লটারির নামে জুয়া হাউজি চালু করেছেন আয়োজক কমিটি। দি আশার প্রদীপ র‍্যাফেল ড্র লেখা রং-বেরঙের টিকেট বিক্রি হচ্ছে ধুমছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লটারি বিক্রি করে নামমাত্র মূল্যে মোটরসাইকেলের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে তাতে। আর ২০ টাকায় লোভনীয় সুযোগ নেওয়ার জন্য দিনের সব আয় লটারিতে খরচ করার পর রাত শেষে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে দিনমজুররা।মানিকছড়ি এলাকাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে অর্ধশত ইজিবাইক লটারির টিকেট বিক্রি করছে। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লটারির খেলা চললেও নীরব ভূমিকা পালন করছে তারা। আর প্রশাসনের এ নীরবতা নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে জনমনে। স্থানীয়দের মধ্যে এ মেলাকে কেন্দ্র করে ইভটিজিং, মাদকসেবী, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতও বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন