৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ শুভ মহালয়া

বিপ্লব কান্তি নাথ

আজ শুভ মহালয়া। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু। বুধবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরীসহ দেশের অন্যান্য মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা। চন্ডিতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী আসবেন ঘোড়ায় চড়ে, বিদায় নেবেন দোলায়। সকালেই দুর্গোৎসবের সাজে মণ্ডপগুলোতে জড়ো হন শত শত পুন্যার্থী। সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবীর প্রত্যাশা ছিলো সবার কণ্ঠে।

দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়ার’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে- এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকেই বলা হয় মহালয়া।

 

 

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন