৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভুরুঙ্গামারীতে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

সুজন কুমার রায় কুুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় নেশার টাকা না পেয়ে বাধন (২২) নামের এক যুবক অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ২৮জুন শুক্রবার শুক্রবার দুপুর ০৯ ঘটিকার দিকে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বড়খাটামারী ৫নং ওয়াডের শিবুরপাড় এলাকায়।মৃত বাধন ওই গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেন (অবঃ সেনা সদস্য) এর ২য় ছেলে।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ সূত্রে জানাযায়, বাধন দীর্ঘদিন থেকে মাদকাসক্তিতে আক্রান্ত।তার নিকটতম এক আত্মীয়ের মাধ্যমে নেশার জালে জড়িয়ে পড়ে।পরবর্তীতে বিভিন্ন বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে নিয়মিত সে মাদক সেবন করতো। মাদক থেকে দূরে রাখতে ও মাদক মুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনতে তার বাবা ও এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা করার পরে ব্যার্থ হয়ে তাকে রংপুর রিহাবে হস্তান্তর করে। সেখানে তিন মাস রাখার পর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে তার মা – বাবা বাড়ীতে ফিরিয়ে আনে। বাড়ীতে এসেই সে আবার তার ঐ সব বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদকের সঙ্গে জরিয়ে পরে এবং বাড়ীতে টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। তার মা -বাবা টাকা না দেওয়ায় নিজের স্মার্ট ফোন বন্ধক রেখে নেশা করে।ঘটনার দিন সে সকাল হতে ৫০০০/= টাকার জন্য মা বাবাকে মানসিক চাপ দিতে থাকে।এক পর্যায়ে সে উগ্র মেজাজে প্রকাশ্যে ঘোষনা দেয় যে টাকা না পেলে আত্মহত্যা করবে।এতেও তার মা- বাবা নেশার জন্য টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে ভয় দেখানোর জন্য তার বাবার রুমে ঢুকে গলায় রশি পেচিয়ে ছাদের সঙ্গে ফাঁস দেয়।পরে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙ্গে জীবিত উদ্ধার করে।একই দিন দুপুর ১২ ঘটিকার সময় সে আবার তার নিজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছাদের কাবারির সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।আত্মহত্যার খবর পেয়ে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল এসআই মামুনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন তদন্ত ওসি সহ সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মোর্শেদুল হাসান (পিপিএম) ভূরুঙ্গামারী সার্কেল।পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন