
সুজন কুমার রায় কুুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
০৭ জুন ২০২৪ খ্রিঃ কুুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় উমরমজিদ ইউনিয়নে বালাকান্দি,ফরকেরহাট সার্বজনীন কালিমন্দিরে ঋষি বিদ্যাপীঠ এর ১৬৮ নং শাখা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
নারায়ন চন্দ্র রায়, প্রতিষ্ঠাতা, ঋষি বিদ্যাপীঠ।
গুরুমাতা মিনা রানী ভাইস প্রিন্সিপাল, ঋষি বিদ্যাপীঠ ও
০৩ নং প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর শিক্ষাগুরু কালিকেশ চন্দ্র বর্মণ।রাজারহাট উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র, সদস্য সচিব নিলয় চন্দ্র, আকাশ চন্দ্র রায়, হৃদয় কুমার,মিঠুন চন্দ্র,আরো ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।ব্রহ্মচর্য শিক্ষার আলো – ঘরে ঘরে জ্বালো। ব্রহ্মচর্য শিক্ষাই পারে আর্য ঋষির ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করতে। ঋষি যুগ প্রতিষ্ঠায় ঋষি প্রণিত জীবন বিধান মেনে চলা সকল ঋষি সন্তানদের কর্তব্য। শাস্ত্রমতে ঋষিরা মানুষের জীবনকে ০৪ (চার) টি আশ্রমে বিভক্ত করেছেন। যথা ১)ব্রহ্মচর্য আশ্রম ২)গার্হস্থ্য আশ্রম ৩)বানপ্রস্থ আশ্রম ও ৪)সন্যাস আশ্রম। সকল আশ্রমের ভিত্তি ব্রহ্মচর্য আশ্রম। ব্রহ্মচর্য আশ্রমে ব্রহ্মচর্য শিক্ষা প্রত্যেক শিশুর জন্য একান্ত প্রয়োজন। কুুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় মানাবাড়ী গ্রামে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রহ্মচর্য সাধন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ঋষি বিদ্যাপীঠ”। ঋষি বিদ্যাপীঠ এর প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন বেদ, উপনিষদ, গীতাসহ অন্যান্য সকল শাস্ত্রের জ্ঞান ধারন করতে চাই শিশুর ধীশক্তি। আর ধীশক্তি সম্পন্ন হতে চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ছাত্রজীবনে বাধ্যতামূলক “ব্রহ্মচর্য শিক্ষা”। আর দেরী নয়, আসুন…সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল ভাই-বোনদের কাছে নিবেদন, ঋষি যুগের ভাবধারা প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রত্যেকটা মঠ, আশ্রম ও মন্দির গুলোকে ব্রহ্মচর্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করি। সপ্তাহে ০১ (এক) দিন শুক্রবার ০২ (দুই) ঘন্টা ব্যাপী ব্রহ্মচর্য শিক্ষার ব্যবস্থা করি। প্রত্যেক গ্রামে প্রতিটা মন্দিরে “ঋষি বিদ্যাপীঠ” এর শাখা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করি।ঋষি বিদ্যাপীঠ এর শাখা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় আপনিই হবেন এলাকার উদ্যোক্তা। আর আপনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় সিক্ত হবে আগামী প্রজন্ম। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে সনাতন ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থা।
