৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিন্দুরমতি মহাতীর্থ ধামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রামনবমী তিথির স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত

রতন রায় অর্ঘ্যঃ

কুড়িগ্রাম জেলা রাজারহাট উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলা পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন এই দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত এই মহাতীর্থ ধাম।প্রতিবছরের ন্যায় পুণ্য লাভের আশায় সিন্দুরমতি মহাতীর্থ ধামে রাম নবমী তিথিতে সূর্য উদয় এর আগেই এই স্নান করে থাকে।কথিত আছে – বাসন্তী পূজার অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নান করে তারপর সিন্দুর মতি তীর্থধামে এসে রাত্রি যাপন করে পরের দিন ভোরে সূর্য উদয় এর আগে রামনবমী তিথিতে স্নান করলে পাপ মোচন হয়।সেজন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গত মঙ্গলবার অষ্টমী স্নান ব্রহ্মপুত্র নদী স্নান ছেড়ে পরের দিন এখানে এসে রাত্রি যাপন করে ভোরবেলা পুণ্য স্নান শুরু করেছেন।এখানে পুন্যার্থী যারা এসেছেন ধর্মীয় রীতি অনুসারে রামনবমী তিথি তে স্নান করলে পাপ মোচন হয় বলে তাই প্রতিবছরের ন্যায় এখানে এসে পুণ্য স্নান করেন পুন্নার্থীগণ।সিন্দুরমতি শ্রী রাম মন্দিরে পূজা কমিটি সাধারণ সম্পাদকঃ মৃনাল কান্তি চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন,প্রতিবছরে বিভিন্ন জেলা থেকে ও দেশের বাহিরে থেকেও এই সিন্দুরমতি মহাতীর্থ ধামে পুণ্যার্থীগণ আসেন। রামনবমীর তিথিতে পুণ্য স্নান করে সকল ভক্তগণ রাম মন্দিরে এসে ভগবান শ্রী রামের চরণে পুষ্পাঞ্জলি ও ব্রত পালন করেন রামনবমী তিথি অনুসারে অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশেষ করে রাম মন্দিরে অনেক পুণ্যার্থী পুষ্পাঞ্জলি ও রাম নামের জয়ধ্বনি উলুর ধ্বনি দিয়ে পুজা সম্পূর্ণ করেন।অন্যতম সদস্য শ্রী রতন কুমার রায় জানান, ঐতিহ্যবাহী সিন্দুর মতি মহাতীর্থ ধামে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করাই আমাদের লক্ষ্য এবংউক্ত অনুষ্টানে রাম মন্দির কমিটি সকল সদস্যগণ স্বেচ্ছাসেবক কাজে নিয়োজিত আছে, আগত সকল ভক্তগণের অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ ও সকল সনাতনী ভক্তগনের কাছে প্রার্থনা জানান যে, বাংলাদেশ এই প্রথম শ্রী রাম মন্দির তাই মন্দিরের ভবন নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন ।এই মহাতীর্থ ধাম সিন্দুরমতি মন্দিরে অনেক ভক্তগণ অঞ্জলি প্রদান করেন কামনা-বাসনা পুন্যার্থে যোগ্য ও প্রার্থনা করেন । তবে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে এখানে বেশ কয়েকজন মা কালীর মূর্তি সেজে পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে দক্ষিণা নিচ্ছেন ভক্তগণ ও দিচ্ছেন ।এ মেলায় দেখা গিয়েছে অনেক দোকানপাট বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা-অর্চনার জিনিসপত্র এছাড়াও রয়েছে চিড়া,মুড়ি, দই, মিষ্টি ভান্ডার, খাবার হোটেল, মাটির তৈরি জিনিসপত্র হাড়ি, পাতিল, মেয়েদের কসমেটিক সামগ্রী কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।রাজারহাট উপজেলা ও লালমনিরহাট উপজেলার প্রশাসন এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রেখেছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন