
মোঃ হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলের শিরোপা এনে দেওয়া মোছাম্মত সাগরিকার পরিবারের থাকার ঘর নেই। বাস করেন অন্যের জমিতে ঘর তুলে। অর্থের অভাবে মানবেতর জীবন কাটছে এই ফুটবলারের। ঠাকুরগাঁওয়ের এই ফুটবলারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি টান ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সাগরিকার। তার বাবা লিটন আলী চায়ের দোকানি। সংসারে অভাব ও বাধা বিপত্তি থাকলেও কখনো দমে যাননি সাগরিকা। চালিয়ে যান ফুটবল। নিজের পরিশ্রমে জায়গা করে নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ নারী দলে। সবশেষ সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন করতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়।তবে দেশকে শিরোপা এনে দেয়া এই ফুটবলারের নেই নিজের ঘর ও জমি। রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামে অন্যের জমিতে তোলা কুড়েঘরে বাস। যে কারণে দলের সতীর্থ বন্ধুদেরও বাড়িতে আনতে পারেননি। সাগরিকার অর্জনে গর্বিত ঠাকুরগাঁওবাসী। সরকারি সহযোগিতা পেলে সাগরিকা আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন রাঙ্গাটুঙ্গি ফুটবল দলের পরিচালক তাজুল ইসলাম।সাগরিকার পরিবারের জন্য স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান। ঠাকুরগাঁওয়ে নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে প্রশাসন পাশে থাকবে বলেও জানালেন তিনি।
