
তাপস কুমার ঘোষ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা দিপা সরকার দুই বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। যৌতুকের চাপে নির্যাতন আবার স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে খোঁজ খবর ও ভরনপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবীর কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। সে শ্যামনগর উপজেলার ছোট কুপট গ্রামের অরবিন্দ মন্ডলের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাধাপদ মেম্বরের মেয়ে দিপা সরকার এর সাথে ২০২১ সালে বিবাহ হয় প্রবীর কুমার মন্ডলের সাথে। তাদের সংসারে দুই বছর বয়সী ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান আছে। দিপা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বাশদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। দিপা স্বামীর সংসারের নানান নির্যাতন আর যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয়ে থাকে। তার বাবা মা কেহ দুনিয়াতে নেই। একমাত্র বোন লাখি সরকারও শিক্ষকতা করেন। দিপা ও প্রবীরের সংসার সুখের করতে লাখি ও তার নিকটজনেরা যারপর নেই চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে গত ২৭ জানুয়ারী-২৪ তারিখে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে উভয়ের উপস্থিতিতে সালিষ মধ্যস্তা হয়। কিন্তু ধুরন্ধর প্রবীর সালিষে বসার চারদিন পূর্বে নিজে বাদী হয়ে দিপার বড় বোন লাখিসহ তিনজনকে আসামী করে আদালতে পি ৬৭/২৪ নং মামলা দায়ের করে, যা সম্পুর্ন মিথ্যা, ষড়যন্ত্র মূলক ও হয়রানীকর। এহেন অবিশ্বাস আর স্বামী ও শশুর শাশুড়ির নির্যাতন হতে রেহাই পেতে চায় বাবা মা মরা মেয়ে দিপা সরকার। পাশাপাশি পরকিয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতনের শিকার দিপা সরকার।
